বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি শক্তিগড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হতে হয় রাজু ঝাকে (Raju Jha Murder Case)। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় জানেন সকলেই। সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে তাঁকে দেখা যায় না খুব একটা। তবে একটা সময় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাজু ঝা-র মৃত্যুর পর তাঁর বিজেপি যোগ দেওয়া নিয়ে সরব হতে দেখা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee)।
তারপরও সেই মৃত ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছে যান অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একসময় বিজেপিতে থাকলেও এখন তো তিনি তৃণমূলে। তাই রাজুর বাড়িতে তাঁর উপস্থিতি দলকে অস্বস্তিতে ফেলবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠে যায়। তবে অর্জুনের সরাসরি উত্তর ‘না।’ তিনি যাঁকে ভাই বলে ডাকতেন, তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের পাশে তো থাকাটাই উচিত বলে মনে করেন ব্যারাকপুরের নেতা।
অর্জুন সিং এদিন বলেন, ‘কোনও লুকনো কাজ আমি করি না। আমি কারও কাছে যাব, যে আমার পূর্ব পরিচিত, সেটা দল কে জানানোর কী আছে! আমাদের দল অত সংকীর্ণ নয়, ওপেন দল আমাদের। আমি কারও বাড়িতে যাব, দল বারণ করবে এমন কোনও ব্যপার নেই।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রাজুর বাড়িতে যান অর্জুন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সাংসদ। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে রাজুর সঙ্গে ব্যক্তিগত খাতিরের কথাই বারবার বলতে শোনা যায় অর্জুন সিং-কে। গ্রামে অর্জুনের বাড়ির ১০ কিলোমিটারের মধ্যেই বাড়ি রাজুর। তাঁকে ছোট ভাইয়ের চোখেই দেখতেন বলে দাবি তৃণমূল নেতার।
কাউকে এই খুনের ঘটনায় সন্দেহ করেন কি না, তা পরিষ্কার করে বলেননি অর্জুন। তিনি শুধু বলেন, ‘আমার মনে হয়, এতে বাইরের কারও ইনভলভ্মেন্ট আছে। অর্জুনের দাবি, ‘আমি ইডি, সিবিআই, সিআইডি নই। তবে যারা করেছে, এটা ভাববেন না যে তারা খুব শান্তিতে আছে।’ অপর দিকে, আব্দুল লতিফকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে অর্জুন বলেন, ‘দ্রুত গ্রেফতার না হলে লতিফকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। যাতে লিঙ্ক কেটে যায়।’