বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনেকদিন ধরেই জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার নিজেই ঘোষণা করেন বিজেপিতে যোগদানের কথা। অবশেষে শুক্রবার ফের গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। দিল্লিতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগ দেন ব্যারাপপুরের এই দুঁদে রাজনীতিক। অর্জুন সিংয়ের পাশাপাশি এদিন বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও।
আজ দুষ্মন্ত গৌতম এবং বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর উপস্থিতিতে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন অর্জুন এবং দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari)। ব্যারাকপুরের সাংসদ প্রসঙ্গে অমিত মালব্য বলেন, মাঝে কিছু কারণের জন্য দলের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতে পারেননি। এখন ফের দলের মুখ্য ধারায় যুক্ত হতে চান। অন্যদিকে তমলুকের সাংসদ তথা শুভেন্দু-সহোদর দিব্যেন্দু বলেন, ‘আজ আমার জন্য খুব শুভ দিন। আমি আজ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলাম’।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই প্রাক্তন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন দিব্যেন্দু। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন অর্জুন সিং। জয়ী হয়ে সাংসদ হন। অপরদিকে তমলুকে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন দিব্যেন্দু। তিনিও নিজ কেন্দ্রে জয়ী হন।
আরও পড়ুনঃ CPM ২৬ TMC ৯! লোকসভা ভোটে বাংলায় লাল ঝড়? প্রকাশ্যে চমকে দেওয়া ওপিনিয়ন পোল
তবে ২০২০ সালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অধিকারী পরিবারের থেকে আস্তে আস্তে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। খাতায় কলমে জোড়াফুল সাংসদ হলেও শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তেমন কোনও সম্পর্ক ছিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। অন্যদিকে ২০২২ সালে ফের তৃনমূলে ফিরে আসেন অর্জুন। তবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট না পেয়ে ফের বিজেপিতে ফিরলেন তিনি।
এদিন গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর দাদা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও কথা বলেন দিব্যেন্দু। তমলুকের সাংসদ বলেন, বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে লড়াই করছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনার তীব্রও নিন্দাও করেন তিনি। দিব্যেন্দুর কথায়, ‘সন্দেশখালিতে মহিলাদের প্রতি যা হয়েছে তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। এখন সারা দেশের ইস্যু সন্দেশখালি। বিজেপি কর্মী হিসেবে মাঠে নেমে বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন আমার লক্ষ্য’।