বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভাটপাড়া (Bhatpara) বিস্ফোরণ নিয়ে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানকার বিধায়ক অর্জুনের ছেলে পবন সিং (Pawan Singh)। আবার ওই এলাকারই সাংসদ হলেন অর্জুন সিং (Arjun singh) নিজেই। বর্তমানে তিনি রয়েছেন তৃণমূলে। দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে। একদিকে জুয়া খেলা নিয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অর্জুনের। অপরদিকে পবন সিং-এর দাবি পুলিস দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না। সেই কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি পবন সিং-এর।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ ভাটপাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। রেললাইনের ধারেই পড়েছিল একটি তাজা বোমা। জানা যায়, ঘটনার ৫ ঘণ্টা পর এলাকায় এসে পৌঁছয় সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা। তাজা বোমাটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক তর্জা। প্রশ্ন উঠতে থাকে কেন বার বার ভাটপাড়া-জগদ্দল এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মত বোমা উদ্ধার হয়? কেন থামানো যাচ্ছে না দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি?
অশান্তির পিছনের কারণ হিসাবে জুয়ার ঠেকের রমরমাকেই দায়ী করেন সাংসদ অর্জুন সিং। বলেন, ‘জুয়ামুক্ত শহর করতে হবে। এর আগেও রেললাইনে বোমা পাওয়া গিয়েছিল। ওখানে এক ক্রিমিনাল আছে, জুয়া খেলে। অপরাধীরা তো কোনও ঠিক থাকে না। এরা বোম, পিস্তল নিয়ে সবসময় ঘুরে বেড়ায়।’ রেললাইনের ধারে বোমা ফাটার বিষয়ে অর্জুন সিংয়ের দাবি, ‘জুয়া খেলার সময় রেল লাইনের পাশে বোমটা রেখে গিয়েছে। তারপর জুয়া খেলেছে, মদ খেয়েছে, ঘুরে চলে গিয়েছে। এরপর সকালে বাচ্চাটি ঘুম থেকে উঠে ওটি নিয়ে খেলতে গিয়ে ফেটে গিয়েছে।’
প্রশাসনের কাছে অর্জুন সিংয়ের আর্জি, ‘আমি প্রশাসনকে বার বার বলব, অতি দ্রুত ভাটপাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর… এই সব জায়গাকে জুয়ামুক্ত অঞ্চল করতে হবে।’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘জুয়ার ঠেক খোলার কারণেই জুয়া খেলতে যাচ্ছে। সেখানে পয়সার হার-জিত হচ্ছে। তারপর গুলি চলছে। ২৬ নম্বর রেলগেটের ওখানে একটি খুন হয়েছিল। জুয়ার ঠেকের মধ্যে খুন হয়েছিল, আবার সেখানে জুয়া চালু হয়েছে। জুয়ার রাশ টানা যাচ্ছে না কোনও ভাবেই।’
অপরদিকে অর্জুন পুত্রের দাবি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পবন সিং প্রশ্ন তোলেন, ‘এত বোমা-মশলা আসছে কোথা থেকে? পুলিস কেন ধরতে পারছে না? পুলিস যদি এই সবের উৎপত্তি জানতে পারে তাহলেই আর এই ধরনের ঘটনা ঘটে না। পিতা-পুত্রের মধ্যে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।। অর্জুন-পবনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চোখে পড়েছে সংশ্লিষ্ট ওয়াকিবহাল মহলেরও।