বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই সিজনের সা রে গা মা পা (saregamapa) গ্র্যান্ড ফিনালে (grand finale) নিয়ে বিতর্ক এখনো অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহ হতে চলল এই সিজনের বিজেতা ঘোষনা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনো বিচারকদের বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আবারো পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে জি বাংলার এই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের বিরুদ্ধে।
গত রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সা রে গা মা পা গ্র্যান্ড ফিনালে। টানা সাত মাসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ফাইনাল ছয় জনের প্রতিযোগীর মধ্যে শেষমেষ ইমন চক্রবর্তীর (iman chakraborty) টিমের অর্কদীপ মিশ্রর (arkodeep mishra) হাতে উঠেছে বিজয়ীর ট্রোফি।
আর এতেই আপত্তি নেটিজেনদের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য অর্কদীপের তুলনায় অনুষ্কা বা নীহারিকা অনেক বেশি দাবিদার বিজয়ীর ট্রোফির। অর্কদীপকে বিজেতা করার সিদ্ধান্ত একেবারেই ভুল বলে দাবি তাদের। গুরুভাই অর্কদীপকে নিয়ে তিনি গর্বিত, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট করায় ইমনকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি নেটজনতা। ইমন নাকি টাকা খাইয়ে অর্কদীপকে জিতিয়েছে, এমনি দাবি তাদের।
ইতিমধ্যেই ইমন ও অর্কদীপ পালা করে ফেসবুক লাইভে এসে নেটিজেনদের অভিযোগের উত্তরে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি নেটিজেনদের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন ইমন। তাঁর প্রশ্ন, একটা ছেলে প্রথম হয়েছে। এতে এত সমালোচনা কেন? অর্কদীপের জায়গায় যদি নীহারিকা প্রথম হত তাতেও কিছু মানুষের সমস্যা থাকত। তখন বলা হত অর্ক বাংলা লোকগান গায়। আমাদের সেটা শোনানো হচ্ছে না কেন।
ইমন আরো বলেন, ‘ছেলেটার মনের অবস্থাটা ভেবে দেখেছেন? ওখানে যারা বিচারকের আসনে রয়েছেন তাঁরা সকলেই পারদর্শী। গান বাজনা শিখে তবেই ওখানে বসেছেন। শঙ্কর মহাদেবন, শ্রীকান্ত আচার্য, মিকা সিং, জয় সরকারদের যোগ্যতা নিয়ে আপনারা কমেন্ট করছেন। নিজেদের কোথায় নামাচ্ছেন।’
কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি ট্রোল, সমালোচনা। একে একে নেটজনতার রোষের নিশানা হয়েছেন অন্যান্য বিচারকরাও। জয় সরকারের বিচারযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় নেটিজেনদের একহাত নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী তথা গায়িকা লোপামুদ্র মিত্র। মুখ খুলেছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচীও।
এবার এই প্রসঙ্গে সরব হলেন অর্কদীপের প্রশিক্ষক তথা লোকসঙ্গীত গবেষক ও গায়ক দেব চৌধুরী। অর্কদীপ ছাড়া সারেগামাপার অন্যান্য প্রতিযোগীদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথম বার এই শোয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি। দেবই জানান, এর আগেও ২০১৬ তে সারেগামাপাতে অডিশন দিয়েছিলেন অর্কদীপ। কিন্তু সেবার প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ে যান তিনি।
তারপর থেকেই শুরু হয় তাঁর কঠোর পরিশ্রম যা এই সাত মাসে প্রকাশিত হয়েছে। অর্কদীপকে দেখে অবাক হয়েছেন দেবও। তাঁর কথায়, শোয়ের মধ্যে অস্বচ্ছতার কোনো জায়গাই নেই। তাছাড়া শো তে লোকসঙ্গীত ছাড়াও অন্যান্য গান গেয়েছেন অর্কদীপ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ তুলছেন তারা ভুল। তারা আসলে বাংলার সংষ্কৃতি ও শিকড়ের বিরুদ্ধেই কথা বলছেন বলে মত দেবের।