বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে একাধিকবার মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছেও জানিয়েছেন তিনি। এবার তার বিরুদ্ধেই বাড়ছে চাপ, এমনিতেই ত্রিপল চুরি এবং অন্যান্য মামলায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছেন বিজেপির এই নেতা। তার উপর সেচ দপ্তরের বিষয়েও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে আবার অস্বস্তিতে পড়লেন শুভেন্দু। কারণ অস্ত্র আইনে এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ আরমান ভোলা এবং অরুনাভ কুইটে।
তমলুক থানা সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপোতা টোল প্লাজার কাছ থেকে দুই সঙ্গীসহ আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ রাউন্ড গুলি, দুটি দেশি পিস্তল এবং দুটি সেমি অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র। সোমবার তাদের আদালতে পেশ করা হলে আপাতত তাদের ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে খবর, হলদিয়ার রাজনৈতিক মহলে পরিচয়ের জেরেই সাধারণ এক শ্রমিক থেকে হঠাৎই বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠে আরমান। হলদিয়ার অনেকটাই নির্ভর করত অধিকারী পরিবারের উপর। সূত্রের খবর অনুযায়ী অধিকারী পরিবারের সঙ্গেও তার যোগ ছিল যথেষ্ট। “দাদার অনুগামী” দলেও নাকি ছিলেন আরমান এবং তার অনুগামীরা।
খবর অনুযায়ী এই আরমানদের উপরেই থাকতো হলদিয়ার সমস্ত সভা-সমিতি আয়োজনের ভার। শুভেন্দু অবশ্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এই ঘনিষ্ঠতার কথা। তিনি বলেন, “ঘনিষ্ঠ শব্দটা সংবাদমাধ্যমের তৈরি।” সাথে সাথে তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মিথ্যা মামলা হয়েছে। সব মামলার তথ্য জোগাড় করছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।” এসব করে বিরোধীদের রোখা যাবে না বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।
তবে এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীর উপর চাপ যে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। কিছুদিন আগেই সেচ দপ্তরের ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে রয়েছে, চাকরির নামে টাকা প্রতারণার অভিযোগ। অন্যদিকে কাঁথি সমবায় ব্যাংকের আর্থিক দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে শুভেন্দু এবং তার ভাই সৌমেন্দুর। এখন আগামী দিনে এই সমীকরণ তাই কোন দিকে গড়ায় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।