দুটি গুলি খেয়েও জঙ্গিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে মৃত্যু ‘বীর জুম”-র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুক পেতে নিয়েছিল জঙ্গির জোড়া বুলেট। তারপর থেকে শুরু হয়েছিল জীবন-মরণ লড়াই। টানা দু’দিন জীবন যুদ্ধ চালানোর পর শেষ পর্যন্ত নিয়তির কাছে হার মানল জ়ুম। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শ্রীনগর পশু হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হল ভারতীয় সেনার বহু অভিযানের সঙ্গী সারমেয় ‘জু়মে’র।

জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের অনন্তনাগে একটি জঙ্গিদমন অভিযান চলার সময় গুলিতে সে আহত হয়৷ ক্ষিপ্র গতিতে জঙ্গিদের পিছনে ছুটে গিয়েছিল জ়ুম। নিজের প্রাণের তোয়াক্কা করেনি। সেই সময় তার বুকে দু’টি গুলি বিঁধে গেলেও জঙ্গিদের ঘায়েল করতে তৎপর ছিল জ়ুম। বলা বাহুল্য, তার তৎপরতার কারণেই দুই জঙ্গিকে কাবু করা গিয়েছে বলে জানায় সেনা। এর পর তাঁকে ভর্তি করানো হয় একটি হাসপাতালে৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার৷

বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, “আর্মি কুকুর জুম, 54 AFVH (অ্যাডভান্স ফিল্ড ভেটেরিনারি হসপিটাল) এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর ১২ টার দিকে মারা গিয়েছে। সে প্রায় ১১.৪৫ টা পর্যন্ত ভালভাবে সাড়া দিচ্ছিল । কিন্তু সে হঠাৎ হাঁপাতে শুরু করে এবং শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।”

পাশাপাশি সেনার পক্ষ থেকে আরোও বলা হয়েছে যে, জুমের শরীরে মোট দু’টি গুলির আঘাত ছিল৷ চলতি মাসের ১০ তারিখে অনন্তনাগে একটি জঙ্গি দমন অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় সে আহত হয়৷ বুধবার সেনা আধিকারিকদের তরফ থেকে বলেই দেওয়া হয়েছিল যে জুমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুম বেলজিয়ান শেফার্ড জাতীয় সারমেয় ছিল ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র দু’বছর৷ শেষ আটমাস ধরে সেনাবাহিনীতে সে নিয়মিত কাজ করে চলছিল৷ শুধু তাই নয়, জুম এতটাই প্রশিক্ষিত কুকুর ছিল যে সহজে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বার করতে পারত৷ ফলে, জুম শহিদ হতেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে একথা বলা বাহুল্য।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর