বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে প্রবল গরম। এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় চলছে লোডশেডিং (Loadshedding)। এমনকি কলকাতায় বিগত কয়েকদিন বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বললেন, রাজ্যের কোথাও জোগানের ঘাটতি নেই। একই সাথে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বক্তব্য, গোটা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ এই মুহূর্তে শীর্ষে।
স্বাভাবিকভাবেই এবার বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন যায় যে এত লোডশেডিং তাহলে কী কারণে? লোডশেডিং এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, অত্যধিক পরিমাণ লোডের জন্য চাপ বাড়ছে ট্রান্সফরমারে। এর ফলে ট্রান্সফরমারগুলি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে ঘটছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। আর এই আবহে আজ বিদ্যুৎ মন্ত্রী লোডশেডিংয়ের জন্য ঘুরিয়ে দায়ী করলেন সাধারণ মানুষকেই।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas) লোডশেডিং এর জন্য দায়ী করলেন সাধারণ মানুষকেই। বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরো বলেন, “একটাই ট্রান্সফর্মার। কিন্তু কেউ লোড বাড়ায়নি। আবেদন করছি আমরা। সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসা উচিত। সিইএসসির সাথে আজও মিটিং আছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ দপ্তর যথেষ্ট তৎপর হুকিং রুখতে।”
বিদ্যুৎ মন্ত্রীর দাবি, অতিরিক্ত পরিমাণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন মানুষ। তাদের উচিত এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরকে অবগত করা। তাহলে এলাকাভিত্তিক ট্রান্সফরমারে বাড়ানো যাবে বিদ্যুতের জোগান। বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কথায়, সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের ব্যাপারে বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানাচ্ছেন না বলেই এই সমস্যা। এটিকে বিদ্যুৎমন্ত্রী লোডশেডিং বলতে নারাজ।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্য লোডশেডিংয়ে নাজেহাল। এমনকি কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতেও দফায় দফায় চলছে লোডশেডিং। একদিকে প্রচন্ড গরম, অন্যদিকে লোডশেডিং এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ কর্মীদের উপর বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। কিন্তু তবুও খুব একটা আশাব্যাঞ্জক পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।