বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাকে (West Bengal) বঞ্চিত করার অভিযোগ নতুন নয়। ইতিপূর্বে সরকারি প্রকল্পে রাজ্যকে বঞ্চনা করার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। এবার কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়েও উঠতে শুরু করেছে সেই একই অভিযোগ। মোদী সরকারের বাজেট নিয়ে একেবারেই খুশি নয়, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করার পরেই শনিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এই বাজেটে বাংলাকে বঞ্চিত করার কথা।
কেন্দ্রের বাজেটে বাংলার (West Bengal) বিপুল লক্ষ্মীলাভ
অনেকের দাবি এই বাজেটে মাঝারি থেকে ছোট ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। যা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৩ শতাংশ। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনেও এই তত্ত্বের স্বপক্ষে বেশ কিছু যুক্তি এবং ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে এবারের বাজেট বক্তৃতা শুনে বেজার খুশি সমর দাস নামে কলকাতার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কাশিপুরের কাছে একটি রাসায়নিক কারখানা রয়েছে তাঁর। এতদিন সেই কারখানাকে মাঝারি শিল্প হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু এবার থেকে ওই কারখানাটি ছোট শিল্প হিসেবে পরিগণিত হবে। সমরবাবুর দাবি এর ফলে তাঁর কাজের পরিমাণ আরও বাড়বে এবং তাতে কারখানার শ্রমিকরা উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত তাঁর কারখানায় এখন কাজ করেন মোট ১৫ জন। মনে করা হচ্ছে এই ভাবেই কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বিরাট উপকার হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: BJP নেতা থেকে হয়েছিলেন ভিক্ষুক! সেই ইন্দ্রজিৎ সিনহার জন্য এবার সাহায্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত
প্রসঙ্গত শনিবারের বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একটি বিশেষ ঘোষণা করে করেছিলেন। সেখানে আমাদের দেশের মাঝারি, ছোট ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পের সংজ্ঞা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিনিয়োগ এবং বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণে বেশ কিছু বদল এনেছেন তিনি। এরফলে এমন অসংখ্য সংস্থা, যেগুলি আগে এমএসএমই-র অধীনে আসত না, এবার থেকে সেগুলিকেও এই শ্রেণির অধীনে গণ্য করা হবে। আর এইভাবেই ওই সংস্থাগুলি ভবিষ্যতে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও কাজ পাবে।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফেডারেশন অফ অ্য়াসোসিয়েশনস অফ কটেজ অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি এইচ কে গুহ। তিনি জানিয়েছেন এবারের বাজেটে যেটা করা হয়েছে সেটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এতদিন যে কথা বলা হচ্ছিল সরকার এবার সেটা করে দেখিয়েছে। তাই এর ফলে এমএসএমই- ক্ষেত্র আরো শক্তিশালী হবে। একইসাথে তাঁর দাবি আগামীদিনে এই সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারবে। কারণ, এবারের বাজেটে এমএসএমই-র সংজ্ঞা নির্ধারণে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ২.৫ কোটি এবং বার্ষিক টার্নওভার দ্বিগুণ করা হয়েছে।