বাংলাহান্ট ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee), যে নামটা এতদিন অনেকেই চিনত না, শোনেনইনি কখনো, সেই নামটাই এখন সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছে। অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটির কাছাকাছি নগদ টাকা, সোনার গয়না, সোনার বাঁট, সম্পত্তির কাগজপত্র সহ আরো অনেক কিছু।
কে এই অর্পিতা? খোঁজ করতেই জানা যায়, তিনি পেশায় একজন অভিনেত্রী ছিলেন। টলিউডের নামীদামী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। এমনকি নিজে নায়িকাও হয়েছেন একটি ছবিতে। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে ওই ছবির পরেই বিনোদন জগৎকে বিদায় জানান অর্পিতা। ওঠাবসা শুরু করেন বিভিন্ন মহলের মানুষজনের সঙ্গে, যাদের মধ্যে ছিলেন নেতামন্ত্রীরাও। মফস্বল থেকে উঠে আসা অর্পিতা রঙিন জীবনের হাতছানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষকেই ভুলে গিয়েছিলেন।
প্রযোজক গৌতম সাহা, অর্পিতাকে প্রথম নায়িকা বানিয়েছিলেন এই মানুষটাই। টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পুরনো স্মৃতি সামনে আনলেন তিনি। মাত্র ১৭-১৮ বছর বয়স থেকেই অভিনয় শুরু করেছিলেন অর্পিতা। তবে পার্শ্বচরিত্রেই বেশি সুযোগ পেতেন তিনি।
২০১১ সালে ‘হৃদয়ে লেখো নাম’ ছবিতে প্রথম নায়িকা হিসাবে দেখা যায় অর্পিতাকে। সুযোগটা করে দিয়েছিলেন প্রযোজক গৌতম সাহাই। নবাগতা মুখ পেয়ে অর্পিতাকে নায়িকা করতে দুবার ভাবেননি তিনি। অর্পিতার প্রশংসাই করেছেন প্রযোজক। অভিনয়, সময় জ্ঞান দুটোই ভাল ছিল তাঁর। ছবিটি বেশ ভাল চলেছিল। অর্পিতাও দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়ে যান।
গৌতম সাহা জানান, মন্ত্রী শান্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অর্পিতার। অন্যদিকে প্রযোজককে ফোন করে যা নয় তাই বলে কথা শুনিয়েছিলেন তিনি। কারণ অর্পিতার মনে হয়েছিল, ছবিতে তাঁকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বেলঘরিয়ার মেয়ে অর্পিতা নায়িকা হিসাবে কত পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন?
প্রযোজক গৌতম সাহা জানান, প্রচণ্ড উচ্চাকাঙ্খী হলেও পারিশ্রমিক হিসাবে খুব বেশি দাবি করেননি অর্পিতা। খাওয়া, থাকা মিলিয়ে মোট ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকেই আজ উদ্ধার প্রায় ৫০ কোটি টাকা!