মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা, মেনেও নিয়েছিলেন পার্থ! ইডির চার্জশিটে প্রকশ্যে বিস্ফোরক তথ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি (ED)। এই চার্জশিটে ২ জনকে একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই চার্জশিট থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় মা হতে চেয়েছিলেন। কাউকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন তিনি। এমনকি তাঁর আপত্তি নেই বলে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও’ দেন পার্থ। অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশির সময় সেই নথি উদ্ধার কয়েছে ইডি।

চার্জশিটের একটি জায়গায় ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত হলফনামা দেন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে লেখা সেই হলফনামায় বলা হয়, পার্থ অর্পিতার ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু। অর্পিতা কাউকে দত্তক নিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। ইডি চার্জশিটে আরও লেখে, ‘এই ব্যাপারে পার্থবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ওই নথিতে নিজের সই আসল বলে মেনে নেন। তিনি বলেন, অনেকেই তাঁর কাছে অনেক বিষয়ে শংসাপত্র নিতে আসেন। দরকার মতো তিনিও শংসাপত্র দিয়ে দেন।’

ইডির প্রকাশ করা এই তথ্যে উঠে এসেছে একাধিক বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়? পার্থবাবু আর কতজনকে এরকম ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ লিখে শংসাপত্র দিয়েছেন? কাউকে দত্তক নিতে গেলে বিধায়ক বা মন্ত্রীর শংসাপত্রের কি কোনও প্রয়োজন রয়েছে? তাহলে হঠাৎ করে কেন পার্থর কাছ থেকেই শংসাপত্র নিতে যাবেন অর্পিতা?

আইনজীবীরা দাবি করেন, কোনও মহিলা যদি দত্তক নিতে চান, তা হলে তাঁর কোনও রকম নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার পড়ে না৷ একমাত্র যদি কোনও মহিলা বৈবাহিক বন্ধনে থাকেন, তা হলেই তাঁর স্বামীর নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার হয়৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কী বান্ধবীর বাইরেও অন্য কোনও সম্পর্ক ছিল পার্থ ও অর্পিতার, সেই নিয়ে উঠছে একাধিক বিতর্ক।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর