বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) মধ্যে প্রেমালাপের খবর বেশ ভইরাল। হাত দিয়ে হৃদয় চিহ্ন আঁকা, হাসি বিনিময়- একেবারে উঠতি প্রেমিক-প্রেমিকার মতোই তাঁদের প্রেমের ইশারায় মেতে বাঙালি। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া পার্থ-অর্পিতার এই প্রেম বিনিময় উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের কলমে। আর তা নজরে এড়ায়নি অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায়েরও।
অর্পিতার মা মিনতিদেবী শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালতেও একথা জানিয়েছিলেন খোদ অর্পিতাই। এতদিন তাঁর দেখভাল করতেন অর্পিতা নিজেই। কিন্তু, মেয়ের ঠিকানা এই মুহুর্তে সংশোধনাগার। ফলে তিনি নিজেই ব্যাঙ্কের কাজ থেকে শুরু করে শরীরের খেয়াল রাখছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় সংবাদমাধ্যম। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে একটু বিরক্তিও হন অর্পিতার মা।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এক রকম এড়িয়ে গেলেন মিনতি মুখোপাধ্যায়। পার্থ এবং অর্পিতার সম্পর্কে কোনও কথা বলতেই রাজি হননি তিনি। তবে বিষয়টি যে চোখে পড়েছে তা স্বীকার করেছেন। মেয়ে দীর্ঘদিন সংশোধনাগারে রয়েছেন। কে খেয়াল রাখছে তাঁর? এখন কেমন আছেন তিনি? মিনতিদেবী বলেন, ‘আমি বারো মাস ওষুধ খাই। আমার শরীর ভালো নেই। আদালতে মামলা চলছে। যা হওয়ার সেখানেই হবে। আমার আর এসব ভালো লাগছে না। আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’
জানা যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য খুব একটা বাইরে যান না অর্পিতার মা। মাঝে মধ্যে ব্যাঙ্কের কাজে অবশ্য বাড়ির বাইরে যেতেই হয়। তবে মেয়ে এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে একেবারেই রাজি নন তিনি। আপতত প্রতিবেশীরাই আপদে বিপদে তাঁকে দেখছেন বলে জানান মিনতিদেবী। আগে অর্পিতার প্রতিবেশীরা দাবি করেন, তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মামা-ভাগ্নি হিসেবেই জানতেন। তবে একসঙ্গে পাড়ায় কখনও তাঁদের দেখা যায়নি, স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
গত বছর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর পরিচিতরা। প্রতিবেশীদের দাবি ছিল, ‘অর্পিতার পরিবার বরাবর এলাকায় বনেদি বাড়ি হিসেবেই পরিচিত ছিল। অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অর্পিতা। পুজোর সময় তিনি মাঝে মধ্যে আসতেন। অসুস্থ মায়ের দেখাশোনাও করতেন।। কিন্তু, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত থাকতে পারেন, তা কেউ ভাবতেও পারেননি।