বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির সুযোগ পেয়েছিল অর্পিতা (Arpita Mukherjee)। তা হেলায় হারিয়েছেন তিনি। কেন যে করলেন না, আজ তা নিয়েই আফশোস করছেন অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায় (Mother)। তিনি বলেন, এই এত টাকা, রাজ্যের শাসকদলে এত যোগাযোগ– এসব নিয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। আজ সংবাদমাধ্যমে এসব দেখে রীতিমতো অবাক মিনতিদেবী।
বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার একটি বাড়িতে একাই থাকেন মিনতি দেবী। বেশ কয়ক বছর ধরেই অসুস্থ তিনি। তিনি জানিয়েছেন, সপ্তাহে এক-দু’দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন মেয়ে অর্পিতা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করতে করতেই মারা যান অর্পিতার বাবা। সেই চাকরিটা পেয়েছিল অর্পিতা। চাকরিটা করল না। অনেকদিন রিজার্ভডও ছিল। আমি অনেক করে বলেছিলাম চাকরিটা কর, করল না কিছুতেই।’
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মেয়ে কি তাহলে মায়ের কথা শুনতেন না? মিনতিদেবীর উত্তর, ‘আমার কথা শুনলে তো আমি মেয়ের বিয়েই দিয়ে দিতাম। আজকালকার ছেলেমেয়েরা কি কোনও কথা শোনে?’ মিনতিদেবী আরও বলেন, দেওয়ানপাড়ার এই বাড়িতে বড় বড় নেতা-মন্ত্রীদের খুব একটা আসা-যাওয়া ছিল না। তবে এলাকার একটি কলেজে একবার বড় একটি মিটিং হয়েছিল তৃণমূলের, তখন নিচুস্তরের কিছু নেতা এই বাড়িতে এসেছিলেন।
তবে মেয়ের বাড়িতে কীভাবে ২১ কোটি টাকা এল, তা নিয়ে কিছুই জানেন না বলেই দাবি করেন মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সবটাই টিভি-তে দেখছি। কী ব্যাপার, তা আমি বলতে পারব না। ও তো অভিনয় করত, প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিল। সেখান থেকেই টাকা রোজগার করে বলে জানতাম।’ এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা, সে ব্যাপারেও নাকি কিছুই জানতেন না মা। তিনি আজ বলেন, ‘সবটাই আজ আমি টিভিতে দেখছি।’