বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রাত পোহালেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস (TMC Shahid Diwas)। বর্তমানে সেই নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ৩০ বছরে পা রাখতে চলেছে ২১ জুলাই শহিদ তর্পন অনুষ্ঠান। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। বিশাল জমায়েত! গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে সমাবেশের দিন মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত ৫০০০ পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদা ৩১ জন অফিসার ও ৮ জন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। রাস্তায় নামবেন ৮০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার।
ধর্মতলায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বক্তব্য রাখবেন দুপুর ১’টা নাগাদ। একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ একাধিক প্রথম সারির নেতা। অন্যদিকে বিভিন্ন ক্যাম্প অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রাজনৈতিক মহলের বাইরে সাহিত্য, শিল্প জগতের ব্যক্তিত্বদের এই সমাবেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
দুপুর ১২টো থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা সহ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য লাইভ দেখানো ও শোনানো হবে। যারা কলকাতায় আসতে পারেননি সেই নেতাদের সেখানে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।ধর্মতলায় থাকবে শহিদ তর্পণের ব্যবস্থা। সকাল ৬’টা থেকেই সেখানে হাজির থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতারা।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে বয়ে গেছে রক্ত গঙ্গা। বহু মানুষের প্রাণহানি দেখে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার কোনও উদযাপন হবে না। ২১ জুলাই এবার হবে শ্রদ্ধা দিবস। ধর্মতলায় থাকবে শহিদ তর্পণের ব্যবস্থা। সকাল ৬’টা থেকেই সেখানে হাজির থাকবেন দলের তাবড় তাবড় নেতারা। দুপুর ১’টায় জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে নেত্রীর বক্তৃতা। দুপুর ১২টা থেকে দলের একাধিক নেতা ও মমতার বক্তব্য লাইভ দেখানো ও শোনানো হবে। কলকাতার একাধিক জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন।
এদিকে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, মেঘালয়, গোয়া, আসাম যেখানে তৃণমূলের অফিস আছে সেখানেও নেত্রীর বক্তৃতা শোনানোর ব্যবস্থা হতে পারে।
ভিন রাজ্যের দলীয় কার্যালয়েও একটি কেন্দ্রীয় জায়গায় এই সভা লাইভ দেখানো হবে বলে জানা গিয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন সেই রাজ্যের একাধিক নেতা। থাকবে জায়েন্ট স্ক্রিন।