বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে ২৪টা ঘন্টাও নেই। রাত পোহালেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস (TMC Shahid Diwas)। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। বিশাল জমায়েত! কিভাবে গোটা পরিস্থিতি সামালে নামছে প্রশাসন? এত হাজার লোকের জন্য ভিড় ও ট্রাফিক সামলাতেও বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
সূত্রের খবর, স্থির হয়েছে সমাবেশের দিন মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত ৫০০০ পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদা ৩১ জন অফিসার ও ৮ জন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। রাস্তায় নামবেন ৮০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার।
সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছেন জোড়াফুলের সমর্থকেরা। বিশাল এই জনসমাবেশে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলাতে ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৪টি টিম ও ৬টি কুইক রেসপন্স টিম। ৪৮টি হেল্প ডেস্ক থাকবে। নজরদারি থাকবে মেট্রোয়। সূত্রের খবর মোট ৪৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
কোথায় থাকবেন কর্মীরা? মালদা এবং মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। খাবারের মেনুতে থাকছে সাদা ভাত, সয়াবিনের তরকারি আর অবশ্যই ডিম। তৃণমূলের ঐতিহ্যবাহী ডিম-ভাতের যুগলবন্দী যে থাকবেই সেই বিষয়ে কারও সন্দেহের অবকাশ নেই।
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর ও দার্জিলিঙের কর্মী-সমর্থকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। দূরপ্রান্ত থেকে আসা কর্মীদের ভীড় হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে। সমর্থকদের আনতে ভাড়া করা হয়েছে স্পেশাল ট্রেন, বাস। পঞ্চায়েত ভোট আর বিরোধী মহাজোটের পর এবার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো কি বার্তা দেন সেই দিকেই নজর সকলের।