বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে তাই ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার পাশাপাশি 144 ধারা জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভের আঁচ যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককেই। কিন্তু এখনও অবধি গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে যোগী প্রশাসন তাই উত্তর প্রদেশের মেরুট সম্ভল কানপুর ফিরোজাবাদ লখনউ সহ বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে যোগী রাজ্যের পুলিশ। এখনও অবধি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে পাঁচ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছেই।
তবে শুধুমাত্র ও পরিস্থিতির উপরে নজরদারি রাখাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ার উপরেও কড়া নজরদারি করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ফেসবুক টুইটার এবং ইউটিউবের বিভিন্ন পোস্টের ওপর খেয়াল রাখছে পুলিশ প্রশাসন। আর তাই তো ইতিমধ্যেই 21 হাজার পোস্টকে আপত্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । এর মধ্যে ফেসবুক টুইটার এবং ইউটিউবের ভিডিও রয়েছে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার জন্য বাঁচানো বইটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে শুক্রবার সরকারি ক্ষতিপূরণ বাবদ ছয় লক্ষ সাতাশ হাজার পাঁচশো সাত টাকার ডিমান্ড ড্রাফ্ট তুলে দিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনরা। সেখানেই শুক্রবার নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন অনেক মানুষ তাই অশান্তির আঁচ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য আগে থেকে অটো ছোট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেখানে দেখা গেল অন্য চিত্র, জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার ও সিনিয়র পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমারের হাতে এই ক্ষতিপূরণের ডিমান্ড ড্রাফ্ট তুলে দিলেন কয়েকজন সাধারণ মানুষ।