আর মিলবেনা রেহাই? গুরুতর অভিযোগে শাকিবের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশ তথা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) সময়টা যেন ভালোই যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই তাঁর বোলিং নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর তারপরই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড থেকে ছিটকে যান তিনি। আর এমন সময়ে আরও বিপাকে পড়লেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সাংসদ। এবার তাঁর বিরূদ্ধে জারি করা হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। তবে হঠাৎ এমন করার পিছনে কারণ কি?

শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan)  বিরূদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা:

জানা যাচ্ছে, চেক বাউন্সের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শাকিব আল হাসান সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাঙ্কের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান মামলা করেন। সেই দিনই আদালত চার জনের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার ছিল মামলার পরবর্তী শুনানি। বাকিরা এ দিন হাজিরা দিয়ে জামিন নিলেও হাজিরায় আসেননি শাকিব আল হাসান। তাঁর নামে তাই পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

Arrest warrant against Shakib Al Hasan

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান শাকিবের বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে শাকিবের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম।

আরও পড়ুনঃ ভক্তদের জন্য বিরাট পদক্ষেপ! পুরীর মন্দিরে এবার নতুন নিয়ম, জানলে হবেন খুশি

তবে এদিন আদালতে হাজির হননি শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) এবং গাজি শাহগির হোসেন। আর সেই সময় সাহিবুর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করে আদালতের কাছে। আর ব্যাঙ্কের কর্মকর্তার সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছে আদালত। তবে শাকিব ছাড়াও শাহগিরের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলাম’! RG Kar কাণ্ডে সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার আগে বড় দাবি মমতার

ঠিক কি অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে: জানা যায়, ২০১৭ সালে আইএফআইসি ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে দেড় কোটি টাকা ঋণ নেয় শাকিবের সংস্থাটি। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) । এরপরে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ক্রিকেটারের সেই ফার্ম ৪ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার দু’টি চেক জমা করে। কিন্তু যে পরিমাণ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল সেই পরিমাণ টাকা ওই ফার্মের অ্যাকাউন্টে ছিল না। যার ফলে এই দুটি চেক বাউন্স হয়ে যায়। আর তারপরে মামলা করা হয়, এবং পরবর্তীতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। পাশাপাশি আরও শোনা গিয়েছে, অলরাউন্ডার শাকিবকে হেনস্থার উদ্দেশ্যে খুনের মামলায় জড়িয়েছিল ইউনূস সরকার। যদিও যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তখন তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। অর্থাৎ বিরাট সঙ্কটের মুখে এখন তিনি।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর