বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের তথা শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani) ফের বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আমেরিকার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) আদানি গ্রুপের প্রধানের বিরুদ্ধে বড় ধরণের জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ এনেছে। SEC অভিযোগ করেছে যে গৌতম আদানি আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করেছেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকার এই মামলায় আদানি গ্রুপের আরও একাধিক সদস্য গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন।
আদানির (Gautam Adani) বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা:
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুনানির পর আমেরিকান আদালত গৌতম আদানি (Gautam Adani) ও তাঁর ভাগ্নের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে। এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন কৌঁসুলিরা গত বুধবার বলেছেন যে গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাগ্নে সাগর আদানি সহ আরও ৭ জন ২০ বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের লাভযুক্ত চুক্তি হাসিল করার জন্য দুর্নীতির পথ অবলম্বন করেন। ভারতের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য ভারতীয় সরকারি আধিকারিকদের প্রায় ২৬৫ মিলিয়ন ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, আদানি গ্রুপ আমেরিকায় ৬০০ মিলিয়ন টাকার বন্ড বাতিল করেছে।
প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা: মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, আদানি এবং আদানি গ্রিন এনার্জি এক্সিকিউটিভের প্রাক্তন সিইও বিনীত জৈন, ঋণদাতা এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তাঁদের দুর্নীতি লুকিয়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ এবং বন্ড সংগ্রহ করেছেন। SEC-র অভিযোগে বলা হয়েছে যে কিছু ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তিগতভাবে গৌতম আদানিকে (Gautam Adani) “নুমেরো ইউনো” এবং “দ্য বিগ ম্যান” নামে সম্বোধন করেছিল। অপরদিকে, সাগর আদানি ঘুষ সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য সেলফোন ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফাইনালে পাত্তা পেলনা চিন! এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জিতে বাজিমাত ভারতের
আদানি গ্রুপ কোনও উত্তর দেয়নি: এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা রয়টার্স আদানি গ্রুপের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে ওই গ্রুপের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। SEC-র দায়ের করা অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে ওই ব্যক্তিরা ফেডারেল সিকিউরিটিজ আইনের জালিয়াতি বিরোধী বিধান লঙ্ঘন করেছেন।
আরও পড়ুন: বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেই ইতিহাস গড়বেন অশ্বিন! জানলে হয়ে যাবেন “থ”
শুধু তাই নয়, নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস গৌতম আদানি, সাগর আদানি এবং আদানি গ্রিন সহ অ্যাজুরের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গৌতম আদানি এবং আদানি গ্রুপ আগে আমেরিকার শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নেতিবাচক রিপোর্টের বিষয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্টের জেরে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ারের ব্যাপক পতন ঘটে। যার ফলে সামগ্রিকভাবে গৌতম আদানির (Gautam Adani) মোট সম্পদও লাফিয়ে কমে যায়।