বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপে এখনও অবধি ভালোই পারফরম্যান্স করেছেন ভারতীয় পেসাররা। প্রত্যেক ম্যাচেই কোনও না কোনও পেসার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে দলকে ম্যাচের দখল নিতে সাহায্য করছেন। ভারতীয় বোলারদের ইকোনমি রেটও বেশ প্রশংসনীয়। ভারতের তিন প্রধান পেসারের কেউই এখনো অবধি খেলা চারটি ম্যাচের একটিতেও বিশাল রান খরচ করেননি।
ভারতীয় পেসারদের এই দাপটের মাঝেও আলাদা করে পাদপ্রদীপের আলো কেড়ে নিচ্ছেন তরুণ বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার অর্শদীপ সিং। ভারতের খেলা চারটি ম্যাচের প্রতিটিতেই তিনি মনে রাখার মত কিছু করে দেখাচ্ছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকেও যিনি ভারতীয় দলের সদস্য হয়ে উঠতে পারেননি, তিনি এখন ভারতীয় বোলিংয়ের মূল শক্তি হয়ে উঠেছেন। তার এই উত্থান নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণামূলক।
এতদিন চলতি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই উইকেট নিয়ে তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়ে উঠেছেন। ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি পেসার অলরাউন্ডার স্যাম কারানকে। নিজেরে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। টুর্নামেন্ট শেষে তিনি কটা উইকেট পাবেন তা জানা না থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ট্রেন্ট বোল্ট, অনরিখ নোকিয়ার মতো অভিজ্ঞ পেসারদের পেছনে ফেলে কিছুদিনের জন্য হলেও শীর্ষস্থানে রয়েছেন পাঞ্জাবী পেসার, এই বা কম কি।
এই টুর্নামেন্টে ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলতে নেমেই নজর কেড়েছিলেন অর্শদীপ। পাকিস্তানের দুই তারকা ওপেনের বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানের পাশাপাশি পিন্চ হিটার আসিফ আলীর উইকেট তুলে ভারতকে ম্যাচে অনেকটা সুবিধা করে দিয়েছিলেন তিনি। যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে হারের পর তাকে খালিস্থানী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপে ভারতের সেরা বোলার হয়েছিলেন অর্শদীপ। এরপর ডাচদের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তিনি দুটি উইকেট নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতকে হারতে হলেও অর্শদীপ প্রশংসনীয় বোলিং করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বিপদজনক দুই ব্যাটার কুইন্টন ডি কক এবং রিলি রসৌকে নিজের প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন তিনি। আর আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সাকিব আল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট সহ দুটি উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের বড় ভূমিকা রেখেছেন তরুণ এই তারকা। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই শেষপর্যন্ত যেদিন তিনি সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের সম্মানটি নিজের নামের সাথে জুড়ে নিতে পারেন, তাহলে তার চেয়ে বড় ব্যক্তিগত প্রাপ্তি এইমুহূর্তে তার কাছে অন্য কিছুই হবে না।