বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে চোয়ালের ক্যান্সারের রোগ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। তার তিন বছর পর ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বাংলার কোচিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন অরুণ লাল।আজ প্রায় তিন বছর পরে সেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। আজ সিএবি অফিসে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন সদ্য বিবাহিত বঙ্গ কোচ। ফলে রঞ্জি সেমিফাইনালের পর থেকে যে পরবর্তী মরসুমে নতুন কোচ আসার জল্পনা শোনা যাচ্ছিল তা এবার কার্যত নিশ্চিত হল।
কিছুদিন আগেই নিজের বান্ধবী বুলবুলি সাহার সাথে নিজের বিবাহ সম্পন্ন করেছিলেন অরুণ লাল। তারপরেই মধুচন্দ্রিমার বদলে ছুটতে হয় বেঙ্গালুরু বাংলার রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের জন্য। সেই ম্যাচটি জিতলেও সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হার মানতে হয় মনোজদের। পরের মরশুম থেকে এত দায়িত্বের ধকল সামলে উঠতে পারবেন না বলেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
যদিও সূত্রের খবর বলছে যে অরুণ লালকে নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছিল সিএবির। সেমিফাইনালে বেশকিছু অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন যার খেসারত দিতে হয়েছিল বাংলাকে। অফ ফর্মে থাকা অভিষেক রহমানকে সেমিফাইনালেও খেলিয়ে যাওয়া ঈশান পোরেলকে আচমকাই বাদ দেওয়া, দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে মাঠে নামা, এমন বেশ কিছু সিদ্ধান্তর জন্য ভুগতে হয়েছে বাংলা দলকে।
এবার নতুন কোচ কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। আলোচনায় উঠে আসছে সদ্য মধ্যপ্রদেশকে প্রথমবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করানো চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের নাম। তার পাশাপাশি রাজনীতি ছেড়ে সম্প্রতি বেরিয়ে আসা লক্ষ্মীরতন শুক্লার নামও উঠে আসছে। কিন্তু এখনই তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না সিএবি বরং ধীরে চলো নীতিতে অগ্রসর হয়ে সময়মতো সঠিক মানুষকে নিয়োগ করার পক্ষে তারা।