বাংলাহান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ আট মাসের লড়াই শেষ হল। ইন্ডিয়ান আইডলের (indian idol) ১২ তম সিজন পেল তার বিজয়ীকে। তাবড় প্রতিভাবান প্রতিযোগীদের হারিয়ে সেরার মুকুট ছিনিয়ে নিলেন পবনদীপ রাজন (pawandeep rajan)। বনগাঁর মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলাল (arunita kanjilal) রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। অপরদিকে সায়লি কামব্লে পেয়েছেন তৃতীয় স্থান। ইডিয়ান আইডলের অন্যতম জনপ্রিয় প্রতিযোগী শনমুখপ্রিয়া রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে।
রবিবার, ১৫ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হয় ইন্ডিয়ান আইডল ১২র গ্র্যান্ড ফিনালে। বিজয়ীর নাম ঘোষনা হওয়ার পরেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান পবনদীপ ও অরুণিতা। সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেটমাধ্যমে। গ্র্যান্ড ফিনালের শেষ পারফরম্যান্সেও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখে গেলেন পবনদীপ। এদিন নিজে গিটার বাজিয়ে ‘কেদারনাথ’এর ‘কাফিরানা’ গান দিয়ে পারফরম্যান্স শুরু করেন তিনি। একে একে হাওয়ায়ে, নাদান পরিন্দে, সাড্ডা হক এর মতো গান গেয়ে মুগ্ধ করেন তিনি দর্শকদের।
গ্র্যান্ড ফিনালের দিন বাস্তবিকই চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না অরুণিতার দিক থেকে। হলুদ লেহেঙ্গায় মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শেষ পারফরম্যান্সে দিওয়ানি মস্তানি, ও মেরে পিয়া, ঘর মোরে পরদেশিয়ার মতো গান গাইলেন অরুণিতা। তাঁর গান শুনে চোখে জল এসে গিয়েছিল বিচারক সোনু কক্করের।
তবে পবনদীপের জয়ে বেশ ক্ষুব্ধ অরুণিতার ভক্তরা। ফিনালের পরেই ইন্ডিয়ান আইডলকে ‘স্ক্রিপ্টেড’ তকমা দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা। এমনকি অনেকে প্রশ্ন করছেন, আর কি কখনো কোনো মেয়েকে দেখা যাবে ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি জিততে? আবার একজনের বক্তব্য, গানের প্রতিভার দিক থেকে অরুণিতার ধারেকাছে ঘেষতে পারবেন না পবনদীপ।
তবে এই শো অনেক কিছুই উপহার দিয়েছে অরুণিতাকে। এর আগে বাংলা সারে গা মা পা ও জিতেছেন অরুণিতা। কিন্তু ইন্ডিয়ান আইডলে আসা তাঁর কাছে স্বপ্নই থেকেছে। লকডাউনের মধ্যে যখন অডিশন হচ্ছিল তখন তাঁর মা বাবাই বলে চেষ্টা করে দেখতে। আর আজ তিনি অন্তিম পর্বে, সেরা হওয়ার লড়াইয়ে। অরুণিতা বলেন, তিনি বেশি কিছু আশাই করেননি। অডিশনের সময়েও খুব ভয়ে ভয়ে ছিলেন।
তবে অরুণিতা যে কতটা প্রতিভাবান তা দর্শকেরা দেখতেই পেয়েছেন। গানের প্রতিভা দিয়ে দর্শকদের তো বটেই, বিচারকদেরও নিজের ভক্ত বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়া কথা দিয়েছেন তাঁর একটি মিউজিক অ্যালবামে অরুণিতা ও পবনদীপকে দিয়ে গাওয়াবেন। গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন করন জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনেও।