বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতি মামলায় আদালতের পাঠানো সমনের বিরোধিতা করে এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বিরাট আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) সমন পাঠিয়েছিল নিম্ম আদালত। এবার এই সমনের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কেজরি।
হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)
উচ্চ আদালতের কাছে তাঁর আর্জি নিম্ন আদালতের এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হোক। একইসাথে দিল্লি হাইকোর্টের তিনি দাবি করেছেন নিন্ম আদালত এভাবে স্বতঃপ্রণোদিত সমন পাঠাতে পারে না। প্রসঙ্গত গত ১৭ সেপ্টেম্বর আফগারী দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) সমান পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত।
এ বিষয়ে কেজরিওয়ালের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, ট্রায়াল কোর্টের বিচারক পিএমএলএর ধারা ৩-এর অধীনে অপরাধের স্বীকৃতি নিতে ভুল করেছেন। এবং অপরাধের সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বর্তমানে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তরবর্তীকালীন জামিনে মুক্ত রয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এতদিন সেই সমনের কোনো জবাব না দিলেও এবার পাল্টা ওই সমন এবং তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অনুমান করা হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতের পাঠানো সামনের বিরোধিতা করেই কেজরিওয়ালের দাবি ট্রায়াল কোর্টের বিচারক পিএমএলএর ধারা ৩-এর অধীনে অপরাধের স্বীকৃতি নিতে ভুল করেছেন।
আরও পড়ুন: ভালোবাসার নাম কলঙ্ক! বিশাখাপত্তনমে প্রেমিক সহ ৪ যুবক মিলে গণধর্ষণ যুবতীকে, আত্মহত্যার চেষ্টা
অপরাধের সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বর্তমানে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য চলতি বছরের ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় তদনকারী দল ইডি। পরে আবগারি মামলায় কেজরিকে জামিন দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট।
সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। এই স্থগিতাদেশ চলাকালীনই তিহার জেলে গিয়ে কেজরিকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। পরবর্তীতে আফগারি দুর্নীতি সহ বিরাট আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গত ১২ জুলাই ইডির মামলায় জামিন পেলেও জেল থেকে বের হতে পারেননি তিনি। কারণ ততদিনে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ায় তাঁকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরবর্তীকালে সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে ফের নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতেই মেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস। সেখানেই জামিন পান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।