প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ টি করে মদ দোকান খোলার অনুমতি সরকারের, প্রতিবাদে নামল বিজেপি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিল্লিতে কেজরিওয়াল সরকারের নতুন আবগারি নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শুধু তাই নয়, গত সোমবার দিল্লির রাজপথে ট্রাফিক জ্যামও করেন বিজেপি সমর্থকরা। ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে হওয়া এই অবরোধের জেরে দিল্লির লক্ষ্মীনগরে বিশাল জ্যাম তৈরি হয়।

সম্প্রতি, দিল্লি সরকার একটি নতুন আবগারি নীতি চালু করেছে। যার অধীনে প্রায় ৮৪৯ টি নতুন মদের দোকান খোলা হচ্ছে। নতুন এই নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ টি করে মদের দোকান থাকবে। আর ধারাবাহিকভাবে এই নীতিরই প্রতিবাদ করে আসছে বিজেপি। যে কারণে, গত সোমবার দিল্লির প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ জানিয়ে ট্রাফিক জ্যামের জন্য আবেদন করে বিজেপি। তবে, যানজটের পরপরই বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে পুলিশ গ্রেফতারও করে।

এদিকে, অক্ষরধাম মন্দিরের কাছে বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা দিল্লিতে বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা বলেছেন যে, “দিল্লি সরকার তার নতুন আবগারি নীতির অধীনে শহর জুড়ে বেআইনিভাবে মদের দোকান খুলছে। আবাসিক এবং ধর্মীয় স্থানের কাছে দোকান খোলা হচ্ছে। যতক্ষণ না নতুন এই নীতি প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের প্রতিবাদ চলবে।”

পাশাপাশি, তাঁদের এই প্রতিবাদের ফলে যাত্রীদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান যে, “এটি একটি গণ আন্দোলন এবং আম আদমি সরকারের নতুন আবগারি নীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ এটি সহ্য করতে প্রস্তুত।” যদিও, দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এক যাত্রী জানান “জাতীয় সড়কে প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে। বেশিরভাগ রাস্তাই বিক্ষোভকারীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এতে আমাদের মতো লোকেদের অসুবিধা হচ্ছে যাদের সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হবে।”

IMG 20220104 110645

পাশাপাশি, বিজেপির এই প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায়, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া অভিযোগ করেছেন যে, “মদ মাফিয়াগুলির সাথে বিজেপির ‘গভীর সম্পর্ক’ রয়েছে। বিজেপি এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছে যাতে তারা অবৈধ মদের দোকান খুলবে এবং মাফিয়াদের সহযোগিতায় চালাবে। কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকার যখন এই নতুন আবগারি নীতি তৈরি করেছিল, তখন এটি প্রায় ৩,৫০০ কোটি টাকার চুরি বন্ধ করেছিল। যেহেতু বিজেপি এই চুরিতে অংশ নিয়েছিল, তারা এখন যন্ত্রণায় ভুগছে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর