এই মুহূর্তের বড় খবর! এবার দুর্নীতি মামলায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে তলব ইডির

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) তরফ থেকে নেওয়া হলো একটি বড় সিদ্ধান্ত। এই সোমবারই জানা গেছে যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কেজরিওয়ালের প্রাক্তন ডেপুটি মণীশ সিসোডিয়ার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। তার পাশাপাশি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) এবং ইডি-কে দ্বারা এই মামলায় তার বিরুদ্ধে তদন্তগুলি আগামী 8 মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এই সমনের পরোক্ষ বিরোধিতা করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। কেজরিওয়াল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠিয়েছে। এই ঘটনা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে কেন্দ্রের একটাই লক্ষ্য, আর সেটা হলো যেন তেন প্রকারেণ এই দলটাকে শেষ করা। এর জন্য তারা ছল বল কৌশল সমস্ত কিছু ব্যবহার করছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলে ঢোকানোর জন্য এবং আম আদমি পার্টিকে শেষ করে দেওয়ার জন্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করে।”

গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি কেজরিওয়ালকে দুর্নীতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের তদন্তের বিষয়ে সিবিআই প্রায় দশ ঘন্টা ধরে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেছিল। এই ব্যাপারে কেজরিওয়াল পরে মন্তব্য করেন, “আমাকে সকাল ১১টা নাগাদ ডাকা হয়েছিল এবং তারা আমাকে রাত ৮.৩০ অবধি নানান প্রশ্ন করেছিল। তারা আমার সাথে অবশ্যই সুস্থ ও ভদ্র ব্যবহার করেছিল এবং এইজন্য আমি সিবিআই অফিসারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যা জানতাম সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, কারণ এখানে লুকানোর মতো কিছুই ছিল না।”

শুধু কেজরিওয়াল নয়, এই মামলায় আম আদমি পার্টির দুই নেতা আপাতত গারদের ওপারে রয়েছেন। এদের মধ্যেই একজন হলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোডিয়া এবং অপরজন হলেন রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। ২০২১ সালের নভেম্বরে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকার নতুন দিল্লি আবগারি নীতি কার্যকর করেছিল।

আরও পড়ুন: সিঙ্গুর মামলা নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত! ৭৬৬ কোটি টাকা টাটাকে ফেরত দেবে রাজ্য

এরপরের বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালের ১৭ই আগস্ট, মনীশ সিসোডিয়ার পাশাপাশি ১৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এই নীতি বাস্তবায়নে কথিত অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দুই দিন পরে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিল্লিতে ‘আপ’ নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। ১৭ই অক্টোবর সিসোডিয়াকে সিবিআই প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করেছিল। এই বছরের ১৮ই ফেব্রুয়ারি, সিবিআই মামলায় চার্জশিট দাখিলের কয়েকদিন পরে তাকে আবার তলব করে। অবশেষে চলতি বছরের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘আপ’ নেতাকে গ্রেফতার করেছে।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর