বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ‘রামায়ণ’ খ্যাত অভিনেতা অরবিন্দ ত্রিবেদী (arvind trivedi)। লঙ্কারাজ রাবণের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রভূত প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। অভিনেতার প্রয়াণে শোকের পরিবেশ ইন্ডাস্ট্রিতে।
সূত্রের খবর, গত কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অরবিন্দ। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার জেরেই একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। খবর অনুযায়ী, বর্ষীয়ান অভিনেতার ভাগ্নে কৌস্তুব ত্রিবেদী তাঁর প্রয়াণের খবর স্বীকার করে। মৃত্যুর কারণও স্পষ্ট করেছেন তিনিই।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ ওঁর হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হয় এবং তার জেরেই একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়।”তিনি আরো জানিয়েছেন বুধবার সকালে মুম্বইয়ের পশ্চিম কান্দিভালির দাহানুকারওয়াড়ি শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত অভিনেতার।
১৯৮৭ সালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছিল রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’ (Ramayana)। সিরিয়ালে রাবণের চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তব জীবনে প্রচন্ড রাম ভক্ত ধারাবাহিকের রাবণ অরবিন্দ ত্রিবেদী (Arvind trivedi)।
রামায়ণে রাবণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অরবিন্দ ত্রিবেদী কিন্তু বাস্তবে রাম ভক্তিতে ডুবে থাকতেন তিনি। লকডাউনের সময়ে ধারাবাহিকের নতুন করে সম্প্রচারণ হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুব খুশি হয়েছিলেন তিনি। আবার দেখাও শুরু করেছিলেন রামায়ণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার।
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল রাবণের সীতাহরণ দৃশ্য দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অরবিন্দ ত্রিবেদী। এমনকি সীতাকে দেখে ভক্তিতে হাত জোড় করতেও দেখা যায় তাঁকে। ভিডিওটি তুমুল ভাইরাল হয়েছিল নেটদুনিয়ায়।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অরবিন্দ জানিয়েছিলেন, প্রথমে রামায়ণে রাবণের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। তিনি সেই মাঝির চরিত্র করতে চেয়েছিলেন যে বনবাসে যাওয়ার সময় রাম, সীতা ও লক্ষ্মণকে নদী পার করে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে রামানন্দ সাগরের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তিনি।
কিন্তু রামানন্দ তাতে রাজি হননি। তিনি অরবিন্দকে বলেন চিত্রনাট্য পড়তে। পড়া শেষ হতেই রামানন্দ সাগর বলেন, তাঁর ধারাবাহিকের রাবণ পেয়ে গিয়েছেন তিনি। অরবিন্দ আরও জানান, রামানন্দ এমন রাবণ খুঁজছিলেন যার মধ্যে সেই চলন বলন দেখা যায় এবং মুখে তেজ। এই সব কিছুই অরবিন্দের মধ্যে পেয়েছিলেন তিনি।