বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর ঘুরে গিয়েছে আরিয়ান খানের (Aryan Khan) মাদক মামলার (Drug Case) পর। গত বছর ২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে গ্রেফতার করা হয় কিং খান পুত্র এবং তাঁর কয়েকজন সঙ্গী সাথীকে। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মাদক পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগ উঠেছিল। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) হাতে গ্রেফতারির পর প্রায় এক মাস জেলেও কাটিয়েছিলেন আরিয়ান।
অক্টোবরের শেষের দিকে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ায় একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল আরিয়ানের উপরে। আরিয়ানকে গ্রেফতারকারী সমীর ওয়াংখেড়ের উপরে অভিযোগ ওঠায় তাঁকে বদলি করা হয় দিল্লিতে। মাদক মামলার তদন্তের দায়ভার নেয় সিট।
তারপরেই মাদক মামলায় আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয় NCB-র তরফে। সেই সঙ্গে অনেকেই আবারো অভিযোগ তোলে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছিলেন শাহরুখ আরিয়ান। এবার ফের চর্চায় মাদক মামলা। মামলায় তদন্তের দায়ভার প্রাপ্ত NCB-র সাত-আট জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
গত অগাস্ট ৩০০০ পাতার একটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিটের তরফে। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের দাবি, তদন্তে অনেক ফাঁকফোঁকর ছিল। উদাহরণ স্বরূপ, যখন আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের ক্রুজ থেকে গ্রেফতার করা হয় তখন তাঁদের আটক করার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিট। তদন্তে আইনি ফাঁকের অভিযোগ জানিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে আরিয়ানকে সম্ভবত নিশানা করা হয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রায় এক মাস আরিয়ান জেলবন্দি থাকার পর ছাড়া পেয়েছিলেন। গত মে মাসে NCB-র তরফেই জানানো হয়েছিল, শাহরুখ পুত্রের বিরুদ্ধে মাদক সেবনে বা ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছিল। এখন ফের সিট তদন্তে ফাঁকের অভিযোগ করে NCB-র দিকেই আঙুল তোলায় লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।