বাংলাহান্ট ডেস্ক: কোথায় পাঁচতারা হোটেল সমান ‘মন্নত’ আর কোথায় আর্থার রোড জেলের স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালের ঘর! সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো আরিয়ান খানের (aryan khan) ভাগ্য পরিবর্তন এমনি। বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে হয়ে শেষমেষ জেলবন্দি হতে হল তাঁকে। গত শনিবার বিলাসবহুল ক্রুজ পার্টি থেকে তাঁকে আটক করে NCB।
গতকালই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে আরিয়ানকে। কিন্তু প্রথমে করোনা বিধি মেনে তিন থেকে পাঁচ দিন তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। জেলে অন্যান্য কয়েদিদের মতোই থাকতে হবে শাহরুখ পুত্রকে। ভিআইপি বলে বিশেষ কোনো আয়োজন করা হবে না।
জানা গিয়েছে, বাকি কয়েদিদের মতোই ভোর ছটায় ঘুম থেকে তুলে দেওয়া হবে। তারপর সকাল ৭ টায় সবাইকে দেওয়া হবে ব্রেকফাস্ট। বেলা ১১ টার সময় দেওয়া হবে দুপুরের খাবার। জেলের মেনুতে থাকবে ভাত ডাল আর রুটি। বাকিদের জন্য যা খাবার সেটাই খেতে হবে আরিয়ানকেও। জেলের মধ্যে বাইরের খাবার ঢোকানোর অনুমতি নেই।
বিকেলে জেলের মধ্যেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির অনুমতি দেওয়া হয় আরিয়ানকে। কিন্তু এখন আইসোলেশনে থাকার দরুন সেই অনুমতি মিলবে না কিং খান পুত্রের। রাতের খাবার দেওয়া হবে সন্ধ্যা ৬ টায়। এমনকি বেশি খাবার চাইলে মানি অর্ডার করে সেই টাকা দিয়ে খাবার কিনতে হবে আরিয়ানকে।
শুক্রবার ৮ অক্টোবর, মাদক কাণ্ডে আরিয়ান সহ আরো দুই ধৃত আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচার জামিন খারিজ করে দিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকার। ৭ অক্টোবর আরিয়ানদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রায় দিয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
এদিন NCB র তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, অনিল সিং দাবি করেন অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন অস্পষ্ট এবং গ্রহণযোগ্য নয়। সেটা আদালত বিচার করুন। আরিয়ানের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তিনি পালটা দাবি করেন, NCB ক্রুজ পার্টিতে আরিয়ানকে মাদক সেবন করতে দেখেছে কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি। এমনকি যে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের কথা NCB দাবি করছে সেটিও মাদক সংক্রান্ত নয়, ফুটবল সংক্রান্ত।