বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতীয় রেলের (Indian Railways) পরিষেবা ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিত্যযাত্রী, যাঁরা স্বল্প দূরত্বে সফর করতে ট্রেনে ওঠেন। আবার কেউ চলে যান দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন প্রবীণ নাগরিকরাও। তাঁদের জন্য সফর আরও একটু সহজ করতে তুলতে বিশেষ বিভিন্ন পরিষেবা দেয় ভারতীয় রেল। যেমন টিকিটে ছাড় ইত্যাদি।
যাত্রীদের জন্য রেলযাত্রা আরও সহজ করে তুলতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় রেল। তাই মাঝে মধ্যেই নিত্য নতুন পরিষেবা চালু করে তারা। এ বার প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এমনই একটি পরিষেবা আনল রেল। প্রবীণরা প্রায়শই অভিযোগ করে থাকেন যে তাঁরা সহজে ট্রেনের নীচের বার্থের টিকিট পান না।
এমন অনেক বয়স্ক মানুষই ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন যাঁরা কোনও না কোনও রোগে ভুগছেন। তাই তাঁদের পক্ষে উপরের বার্থগুলিতে ওঠা কষ্টকর। সেক্ষেত্রে অনেক সময়েই সহ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বার্থ অদল বদল করে নেন তাঁরা। তবে আর চিন্তা নেই। রেলের গাইডলাইনেই এর সমাধান রয়েছে।
সম্প্রতি টুইটারে একজন অভিযোগ করেন, তিনি তাঁর মামার জন্য একটি টিকিট কেটেছিলেন। ওই প্রবীণের একটি পায়ে সমস্যা রয়েছে। তাই তিনি নীচের বার্থের টিকিট চেয়েছিলেন। তবে তিনি তা পাননি। তাঁকে উপরের বার্থ দেওয়া হয়। আইআরসিটিসি-র তরফে এই টুইটের জবাবে জানানো হয়েছে কেন ওই ব্যক্তি নীচের বার্থ পাননি।
আইআরসিটিসি জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সাধারণ কোটায় টিকিট কেটেছিলেন। সেখানে নীচের বার্থকে অগ্রাধিকার দিলেও ওই সিট তিনি পাবেন কিনা তা প্রাপ্যতা সাপেক্ষ। সেই জন্য টিকিট কাটার পর যাত্রীকে ‘Reservation Choice Book only if lower berth is alloted’ বিকল্পটি বেছে নিতে হবে। তবেই তিনি নিশ্চিত ভাবে নীচের বার্থের সিট পাবেন।
এই বিষয়ে রেলের গাইডলাইন বলছে, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্লিপার শ্রেণির প্রতি কামরায় ৬টি, এসি ৩-টিয়ারে ৩টি নীচের বার্থ এবং ঘুমোনো যায় এমন সব ট্রেনের এসি ২-টিয়ারে কোটা স্থির করা রয়েছে। এছাড়াও ট্রেন ছাড়ার পর যদি দেখা যায় কোনও কামরায় নীচের বার্থ খালি রয়েছে, সেক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধী, প্রবীণ নাগরিক অথবা গর্ভবতী মহিলার টিকিট পরীক্ষককে অনুরোধ করতে পারেন। সেই অনুরোধের ভিত্তিতে তাঁদের সেই আসন দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে যিনি অনুরোধ করছেন, তিনি যদি উপরের বার্থে জায়গা পেয়ে থাকেন তাহলেই সেই অনুরোধ গ্রাহ্য করা হবে।