বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) বাইক বাহিনীর অত্যাচারে গ্রাম ছাড়ল ৫০ পরিবার। দিনের পর দিন অত্যাচারে সন্ধ্যের পর থেকেই ভয়ে সিটিয়ে থাকত বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মডেল বাজার এলাকার বাসিন্দারা। শাসক দলের তান্ডবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল তাদেরই সমর্থকরা।
তৃণমূলের বাইক তাণ্ডব
বিগত কয়েক মাস ধরে সন্ধ্যে হলেও বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ত তৃণমূল বাহিনীর কিছু সদস্যরা। আর তারপরই শুরু হত অত্যাচার। প্রতিবাদ করলে জুটত মার। স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছেন, হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর এক নম্বর, দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নেতার মদতেই নাকি তাঁদের এতো বাড়বাড়ান্তি। ওই নেতার বিরুদ্ধে আমফান এবং করোনা দুর্নীতি নিয়েও উঠেছে নানা অভিযোগ।
ঘর ছাড়লেন তৃণমূল সমর্থিত পরিবার
স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টে তাঁদের উপর জুলুম করা হত বলেও জানাচ্ছে তারা। প্রতিবাদের জেরে হাসনাবাদের মাখালগাছা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মার খান এক আইনজীবী এবং তিনজন মহিলাও। আহতরা বিগত কয়েকদিন ধরে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এমনকি এই অত্যাচারের হাত থেকে বাদ পড়েনি ছাত্র ছাত্রীরাও। সব শেষে এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঘর ছাড়া হলেন প্রায় ৫০ টি তৃণমূল সমর্থন করা পরিবার। কেউ বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিলেন, কেউবা অন্য কোথাও চলে গেছেন।
প্রতিবাদ করতে গেলে জোটে মার
এই ঘটনার প্রতিবাদে বসিরহাট মহকুমা আদালতের তৃণমূলের লিগাল সেলের আইনজীবী জিয়ারুল মোল্লা জানান, ‘দুর্নীতি, সন্ত্রাস, রাতের অন্ধকারে বাইক মিছিল-এর প্রতিবাদ করতে গেলে দুষ্কৃতীরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি ওই অঞ্চলের সুপারভাইজার মনিরুল মোল্লাও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে, তাকেও মার খেতে হয়। সেই সঙ্গে মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রী রিনা বিবি ও বোন মিলি সরদারকেও’।
সরানো হল অত্যাচারিত তৃণমূল নেতাকে
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পুলিশ বা স্থানীয় বিডিওকে জানালেও তারা এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। তবে বর্তমানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই অত্যাচারিত নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে আরও বড় শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।