বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইঁট বৃষ্টি থেকে শুরু করে বোমাবাজির অভিযোগও সামনে উঠে আসে। তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP) সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। পরদিন এই বিষয়ে কড়া বিবৃতি এসেছিল রাজভবন থেকে। অন্যদিকে, এরপরই এদিন সকালে তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে (C V Ananda Bose) কার্যত তুলোধনা করা হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।
তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায় (Jago Bangla) লেখা হয়েছে, বর্তমান রাজ্যপাল বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) পথ অনুসরণ করছেন। তিনি বিজেপির ক্যাডার ছিলেন। তার পথেই হাঁটছেন রাজ্যপাল বোস। আরও লেখা হয়েছে, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যপাল একতরফা বিবৃতি দিয়েছেন। নিরপেক্ষতা বজায় রাখেননি রাজ্যপাল, যদি তা থাকত তবে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতেন।
এখানেই শেষ নয় রাজ্যে বিএসএফ-এর অত্যাচার নিয়ে রাজ্যপাল কেন নীরব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রাজ্যপাল বিষয়ে এদিন মুখ খোলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, রাজ্যপাল শিক্ষিত মানুষ। কিছু বিজেপি নেতা তাকে বিপথে চালিত করতে চাইছে। রাজ্যপালের উচিৎ সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। প্রসঙ্গত, বাংলায় আসার পর থেকেই রাজ্য-রাজ্যপালের সুসম্পর্ক নিয়ে জোর চর্চা চলে সর্বত্র।
সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি থেকে জেভিয়ার্সের বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রীকে মহিমান্বিত করার দিন। এই সব নিয়েই বেশ সমালোচনায় সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তবে সম্প্রতি দিল্লি সফর থেকে ফেরার পর প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে নিযুক্ত করার বিলও সই করেননি। তবে কী কাঁটাতার পড়ল মমতা-রাজ্যপাল সম্পর্কে? এমনটাই যখন আলোচনা ঠিক তখনই নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি জারি করেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিনহাটার (Dinhata) বুড়িরহাট এলাকায় কর্মসূচি ছিল নিশীথের। কিন্তু সেই স্থানে নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ি সেখানে পৌঁছতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কালো পতাকা দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ সভাস্থলে যাওয়াকালীন আক্রমণ করা নিশীথের ওপর। তার গাড়িতে হামলা চালানো হয় পাশাপাশি নিশীথের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় বোমাবাজি ও গুলি চালানোরও অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়েই গত দুদিন থেকে ধুন্ধুমার রাজ্যে।