বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত কিছুদিন আগে ভারতবর্ষে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে মন্তব্য পেশ করেন। ভাগবত বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে যদি জনসংখ্যার ভারসাম্য সঠিক না থাকে, তাহলে হয়তো পরবর্তীকালে ভৌগোলিক সীমানার পরিবর্তন হতে পারে। জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটিকে কোনভাবেই অগ্রাহ্য করা যায় না। দেশের স্বার্থে এমন জনসংখ্যা নীতি গ্রহণ করা উচিত যা সবার কাছে সমান হবে।”
এর পাশাপাশি মোহন ভাগবতের বক্তব্য ছিল, জনসংখ্যা যদি কমে থাকে সেটা হিন্দু সমাজে। হিন্দুদের তুলনায় মুসলমান সমাজে জন্মহার কমার হার খুবই নগণ্য । সংঘ নেতার মনে করছেন, এই হারে যদি মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে আগামী দিনে ভারতবর্ষে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হয়ে দাঁড়াবে তারাই। সংঘের নেতারা তাই মনে করেন অবিলম্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
সংঘ নেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গত শনিবার একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাদের এক হাত নিলেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, “মুসলমানরা সব থেকে বেশি কনডম ব্যবহার করেন। এই বিষয়টি নিয়ে তো ভগবত কিছু বলেননি।” একই সঙ্গে ওয়াইসি আরো বলেন, “কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী মুসলমানদের জন্ম হার কমেছে দুই শতাংশ। আপনি যদি ভুল তথ্য দেন সেটা আপনার সমস্যা।”
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে ওয়াইসি বলেন, “আপনারা চাকরি দেবেন না, বেতন বৃদ্ধি করবেন না। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার মানুষ ২০৬১ সালের মধ্যে খাবার, ঔষুধের জন্য তাদের সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। বিজেপি আর আরএসএস মানুষের খাবারের ব্যবস্থা না করে মুসলমানদের উপর হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”