হিন্দুরাই সংখ্যালঘু অসমে, NRC এর দাবিতে সরব মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুসলিমরাই রাজ্যে সংখ্যা গুরু! এবার এমনটাই দাবি করতে শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। তাঁর দাবি উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে আর কোনও মতেই মুসলিমদের সংখ্যা লঘু বলে গণ্য করা যায় না। বহু জেলাতেই সংখ্যলঘু হয়ে পড়েছে হিন্দুরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘যখন হিন্দুরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই, তখন তাদের সংখ্যালঘু হিসেবেই ঘোষণা করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায় অসমের সংখ্যাগুরু এবং বৃহত্তম সম্প্রদায়। এটা শুধু আমার মতামত নয়। পরিসংখ্যানও তাইই বলে। পরিসংখ্যান অনুযায়িই মুসলিমরা অসমের বৃহত্তম সম্প্রদায়। ‘ এদিন বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিতর্কের সময় হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আজ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা বিরোধী দলের নেতা, বিধায়ক। তাদের সমান সুযোগ সুবিধা এবং ক্ষমতাও রয়েছে। তাই এটি নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব যাতে উপজাতীয় জনগণের অধিকার রক্ষা হয় এবং তাদের জমি দখল না হয়।’

শর্মা আরও বলেন, ‘ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গেই আসে দায়িত্ব। যেহেতু মুসলিমরা আসামের জনসংখ্যার ৩৫% তার এখানে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা তাদের কর্তব্য। আসামের মানুষ ভীতিতে দিন কাটাচ্ছে। মুসলিমরা শাঁখারি সংস্কৃতি, সত্তরীয় সংস্কৃতি রক্ষার কথা বলুক। তবেই সম্প্রীতি হবে।’ তাঁকে এও বলতে শোনা যায় যে, ‘দশ বছর আগেও আমরা সংখ্যালঘু ছিলাম না। এখন আমরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছি।’

উল্লেখ্য, আগেও সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন আর সি পর্যালোচনা করার কথা বলে আবেদন জানিয়েছিলেন। এই বিষয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমরা আগেও বহুবার বলেছি যে পুরোনো নাগরিক পঞ্জি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। একই সঙ্গে তা নতুন ভাবে বানানো উচিত।’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে সে রাজ্যে প্রকাশিত হয়েছিল জাতীয় নাগরিক পঞ্জি। আর তাতেই দেখা যায় ৩.৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে বাদ পড়ে ১৯.০৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম। তা নিয়ে কার্যতই শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে। প্রতিবাদে পথে নামে বিরোধীরা। প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় জাতীয় রাজনীতিতে। এমনকি জ্বালানো হয় ট্রেন বাসও। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ অবরোধ। মুখ্যমন্ত্রীর আবারও এন আর সি পর্যালোচনার আবেদনে যে আবারও তোলপাড় হতে পারে জাতীয় রাজনীতি, তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর