বাংলাহান্ট ডেস্ক: মৃত্যুর পরেও মানুষ বেঁচে থাকে তার কৃতকর্মের মধ্যে দিয়ে। এই প্রবাদ অক্ষরে অক্ষরে সত্যি করে দিয়েছে অসমের (asam) ঋষভ দত্ত (rishav dutta)। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে সে। কিন্তু মৃত্যু কেড়ে নিতে পারেনি তাঁর স্মৃতিকে। অসাধারন শিল্পীপ্রতিভার মধ্যে দিয়েই সকলের মধ্যে বেঁচে রয়েছে ঋষভ।
অসমের তিনসুকিয়া জেলার কাকোপথারের বাসিন্দা ছিল বছর সতেরোর ঋষভ দত্ত। অসাধারন মিষ্টি গানের গলার জন্য আগেই ভাইরাল হয়েছিল সে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু বিধি বাম। দু বছর আগে এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া নামে এক বিরল রোগ ধরা পড়ে ঋষভের শরীরে। এই বিরল রোগে রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
শুরু হয় মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ। গোটা অসম জুড়ছ চলেছিল ঋষভের চিকিৎসার অর্থ জোগাড়। ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজেও চিকিৎসা হয় তাঁর। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয় না। সবার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে গত বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ঋষভ।
তাঁর গানের দৌলতে ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজ, বেঙ্গালুরুর বেসরকারি হাসপাতাল সব জায়গাতেই সকলের চোখের মণি হয়ে উঠেছিল ঋষভ। হাসপাতালের বেডে বসে গিটার বাজিয়ে গান গাইত সে। সেই সব ভিডিও তুলে রাখতেন ঋষভের বন্ধু বান্ধব, পরিবারের সদস্যরা।
ঋষভের মৃত্যুর পরেও ভাইরাল হয়েছে তাঁর গানের ভিডিও। কোনও ভিডিওতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল ছবির চান্না মেরেয়া গাইতে আবার কোনওটায় দেখা গিয়েছে ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি ছবির কবীরা গাইতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওগুলি।
https://www.facebook.com/171940673546114/videos/748614809220288/
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঋষভের বেডের চারপাশে ঘিরে রয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা। তাঁকে গান গাওয়ার অনুরোধ করছেন তারা। মোবাইলে রেকর্ডও করে রাখছেন ভিডিও।
https://www.facebook.com/171940673546114/videos/2949418961822582/
প্রসঙ্গত, ঋষভের চিকিৎসার জন্য অসম জুড়ে অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে অসম সরকার ঋষভের বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের জন্য দেয় ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া আরও কিছু স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও মিডিয়া সংস্থা থেকেও তোলা হয় অর্থ।