বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরই রাজনৈতিক সন্ন্যাস ঘোষণা করেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। এরপর তিনি আবার কয়েকদিনের মধ্যেই রাজনৈতিক সন্ন্যাস থেকে অবসর ঘোষণা করে আচমকাই তৃণমূলে (All India Trinamool Congress) যোগ দেন। শুধু তৃণমূলের যোগ দেওয়াই না, বিজেপির নেতৃত্বর উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বাবুল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে করেছিলেন বাঙালীদের নজরান্দাজ করার অভিযোগ।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সময় চেয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু স্পিকার ব্যস্ত থাকায় ওনাকে সময় দিতে পারেন নি। এরপর একদিন স্পিকার ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে রেখে বাবুল সুপ্রিয়কে সময় দেন। আর তখনই নব্য তৃণমূল নেতা স্পিকারের কাছে গিয়ে নিজের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন।
বাবুলের ইস্তফা গ্রহণের পর সোমবার লোকসভার স্পিকার সংসদ ভবনে তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। স্পিকারের এই ঘোষণার পর এবার আসানসোল কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের ডঙ্কা বাজল। কবে হবে তা জানা নেই, তবে এবার আসানসোল কেন্দ্র উপনির্বাচন হওয়ার রাস্তা খুলে গেল। ইতিমধ্যে বিজেপি সেখানে তাঁদের জমি মজবুত করতে লেগে গিয়েছে। সম্ভবত বিজেপি ওই কেন্দ্র থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে প্রার্থী করতে পারে। কিন্তু তৃণমূল কাকে করবে, সেটা নিয়েই চলছে জল্পনা।
তৃণমূল সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসানসোল কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয়কে আর প্রার্থী করা হবে না। বাবুলের বদলে ওই কেন্দ্রে অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করা হতে পারে। একুশের নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সায়নী। সেখান থেকে তিনি জিততে না পারলেও বেশ ছাপ ফেলেছেন। আর এই কারণেই এবার আবারও সায়নীকে আসানসোল থেকেই প্রার্থী করার কথা ভাবছে তৃণমূল।