ডবল ডবল চাকরি, ডবল ডবল বেতন! ফাঁস হতেই আসানসোলের পুরকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাকরি করেন আসানসোল পুরনিগমে। কিন্তু, মজার বিষয় হল মাসের শেষে মাইনে পান দুই জায়গা থেকে। বুধবার এরকমই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল আসানসোল পুরসভার এক মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসার পরই শুরু করা হয় তদন্ত। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে বর্তমানে শোকজ করা হয়েছে ঐ কর্মীকে।

পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুরকর্মীর নাম শ্রীজিতা মিত্র। এতদিন তিনি পুরনিগমের সদর দফতর ও রানিগঞ্জ বোরো অফিস থেকেও বেতন পাচ্ছিলেন। আসানসোলের কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সারওয়ারের অভিযোগ করেন পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মী শ্রীজিতা মিত্র প্রতি মাসে ২ বার করে বেতন নিতেন। একথা শুনে অবাক বাকি সকলে৷ এরপর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হলে দেখা যায়, আসানসোল পুরনিগমের সদর দফতর এবং রানিগঞ্জ বরো অফিস, এই দুই জায়গা থেকে বেতন পাচ্ছেন গত ২১ মাস ধরে।

সূত্র মারফত খবর, ২০২০ সালে আসানসোল পুরনিগমের সদর দফতরে যোগদান করেন শ্রীজিতা। কয়েকদিন পর তাঁকে রানিগঞ্জ বোরো অফিসে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে ট্রান্সফার করা হয়। এখান থেকেই শুরু হয় গণ্ডগোল। বোরো দফতরের পাশাপাশি পুরনিগমের সদর দফতর থেকেও তাঁকে ওয়ার্কিং স্টেটমেন্ট পাঠানো হচ্ছিল প্রতি মাসে। ফলে প্রতিমাসে তিনি দু’জায়গা থেকেই দশ হাজার টাকা করে বেতন পেতেন। কীভাবে দুই জায়গা থেকে ওয়ার্কিং স্টেটমেন্ট ওই মহিলার কাছে আসছিল, তা নিয়েও রয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি নিয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে পুরনিগমের ফাইন্যান্স আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে মেয়র উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

অভিযোগকারী কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, ‘গত ২১ মাস ধরে মাসে উনি দুই বার করে বেতন পেয়েছেন। তাঁকে শোকজ করা বা টাকা ফেরত দিতে বলাটাও যথেষ্ট নয়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো তার সম্পুর্ণ তদন্ত করা উচিৎ। এতে যারা জড়িত তাদের বরখাস্ত করা উচিৎ।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর