বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘দাদা চা খেয়েছেন? দাদার শরীর এখন কেমন? সকালে কেষ্টদার প্রেসারের ওষুধ খাওয়ার কথা রয়েছে, উনি খেয়েছেন?’ একের পর এক ফোন কল এসে চলেছে আসানসোল (Asansol) জেলের ল্যান্ড ফোনে। উদ্দেশ্য একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা তথা ‘দাদা’ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেওয়া আর এর মাঝেই ক্রমাগত অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। ইতিমধ্যে অনুব্রত ও তাঁর নিকট আত্মীয়দের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। একইসঙ্গে তৃণমূল নেতার অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে তদন্তকারী সংস্থা।
তবে এত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও দাদার অনুগামীর অভাব নেই। বিশেষত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই কেষ্টর কদর আরো বহু গুনে বেড়ে গিয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, প্রতিদিন সকাল হতে একের পর এক ফোন এসে চলেছে। কখনো চা খাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তো কখনো আবার ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলে উঠছেন, “দাদা প্রেসারের ওষুধ খেয়েছেন তো?” এমনকি এই কারণে জেলের ল্যান্ডফোনের সামনে একজনকে দীর্ঘক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
তবে মুদ্রার অপর পিঠও বর্তমান। জেল সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যে একাধিক ফোন এসে চলেছে, যেখানে ‘গরু চোর’ বলে সম্বোধন করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। পাশাপাশি তাঁকে দিয়ে বাসন মাজানো এবং ঘর মোছানোর দাবি পর্যন্ত তুলেছে কিছু মানুষ।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত নামে ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। এক্ষেত্রে এদিন তাঁকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। এখন দেখার, এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা এবং অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি-দাওয়া শোনার পর আদালতের রায় কি হয়।