যোধপুরের রাস্তায় ঝাড়ু দেওয়া সাফাইকর্মী ‘আশা” এখন রাজস্থানের বড় সরকারি আধিকারিক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হার না মানা স্বপ্ন দেখতে জানলেই একদিন তা সফল হয় এর উদাহরণ আগেও দেখা দিয়েছে বারবার। সে বিখ্যাত চরিত্র হ্যারি পটারের জন্মদাত্রী জে কে রাওলিংই হন কিম্বা আমাদের বলিউডের চিরপরিচিত শাহরুখ খান। হাল না ছাড়া এক তীব্র জেদই তাদের পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের শিখরে। এবার ফের একবার এমনি একটি ঘটনা সামনে এলো রাজস্থান থেকে।রাজস্থানের সবচেয়ে বড় চাকরির পরীক্ষা আরএসএস পাস করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিলেন এক সাফাই কর্মী।

যোধপুর পৌর কর্পোরেশনে অস্থায়ী সুইপার হিসেবে কাজ করতেন আশা কান্দারা। রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়াই ছিল তার কাজ। তবে হাল ছাড়েননি আশা। দিনে কাজ এবং রাতে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন সমানতালে। যার জেরে আজ প্রশাসনিক পরিষেবায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হলেন আশা। আরএসএসের পরীক্ষায় আশার র‍্যাংক ৭২৪।

অবশ্য শুরুটা খুব ভাল ছিল না তার জন্য। আট বছর আগে দুই সন্তানকে তার কাছে রেখে মতবিরোধের জেরে তাকে ডিভোর্স দেন আশার স্বামী। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম প্রথম ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন এই তরুণী। তবে তারপর ফের একবার হেরে না যাওয়ার এক তীব্র মানসিকতাকে সঙ্গী করে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। গ্রাজুয়েশন শেষ করে শুরু করেন আরএসএসের জন্য প্রশিক্ষণ।

একদিকে পৌর কর্পোরেশনে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ, অন্যদিকে সন্তান প্রতিপালন এবং সাথে সাথেই পড়াশোনা। বলাই যায় আশা এক ‘সুপার মম’। কাজের প্রতি তার নিষ্ঠার জেরে ১২ দিন আগে অস্থায়ী তার সুইপারের চাকরিও স্থায়ী করে দিয়েছিল প্রশাসন। তবে এখন আর রাস্তায় ঝাড়ু দিতে বেরোতে হবে না আশাকে। আশা বলেন, পৌরনিগমের অফিসারদের দেখেই প্রথম তার মনে অফিসার হওয়ার বাসনা জাগে। তারপর থেকেই শুরু পড়াশোনা। অবশেষে সফল হল স্বপ্ন।

 

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর