মাঝরাতে ২০ কিমি অটো চালিয়ে গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতাল পৌঁছালেন আশা কর্মী, প্রশংসায় মুখর উপরাষ্ট্রপতি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটক (Karnataka) থেকে এমন খবর সামনে এসেছে, যা স্যোশাল মিডিয়ায় থাকা মানুষজনের মনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। সমাজে জন্ম নেওয়া প্রত্যেক মানুষের উপর সামাজিক দায়িত্বভার থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্বার্থ এতটাই গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে মানুষ নিজের নিজের সামাজিক কর্তব্য থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। অন্যের দুঃখ কষ্টে অন্যের বিপদে নিজেকে আলাদা রাখার ভরপুর প্রয়াস করে। অবশ্য এসবের মধ্যেও এমন লোকজনের দেখা মেলে যারা সামাজিক দায়িত্বে নিজেকে নিয়োজিত করতে দ্বিধাবোধ করে না।

সংকটকালেও কর্ণাটক থেকে উঠে এল এক মানবিক দৃষ্টান্তের উদাহরণ। এক ব্যক্তি বিপদে পড়ে সাহায্য চাইলে, সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেন আশা কর্মী রজিবি। এমনকি তাঁর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুও (M. Venkaiah Naidu)।

ঘটনার বিবরণ
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কর্ণাটকের উদুপী জেলার পারনঙ্কিলা গ্রামের এক গর্ভবতী মহিলা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর ডেলিভারীর সময় হওয়ায় প্রসব যন্ত্রণা উঠতে শুরু করে। কিন্তু মধ্যরাতে কোন গাড়ী না পেয়ে, স্থানীয় এক আশা কর্মী রজিবির কাছে সাহায্যের জন্য যায় তাঁর পরিবার।

মধ্যরাতে তারা রজিবির কাছে ছুটে গিয়ে জানায়, ওই মহিলার অবস্থা খুব খারাপ, তাঁকে এখুনি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। কোন কিছু না ভেবে, রজিবি তখন শুধু ওই গর্ভবতী মহিলার কথা ভাবতে থাকে। আর তৎক্ষণাৎ তিনি জানান নিজের অটো করেই তিনি ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

asha

নিজেই অটো চালিয়ে হাসপাতাল নিয়ে যায়
রজিবি, স্থানীয় এক আশা কর্মী। তিনি পারনঙ্কিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বচ্ছ ভারত মিশনের রাষ্ট্রদূতও। মহিলা হওয়া সত্ত্বেও, তাঁর নিজস্ব অটো থাকায় সে নিজেই অটো চালিয়ে ওই মহিলাকে উদুপী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। দীর্ঘ ২০ কিমি রাস্তা তিনি নিজেই অটো চালিয়ে নিয়ে যান। বর্তমানে ওই মহিলা এবং তাঁর সদ্যজাত কন্যা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।

প্রশংসা করলেন উপ রাষ্ট্রপতি
সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আজ তারা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। রজিবির এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। তাঁর এই কর্মকান্ডের ভিত্তিতে উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু ট্যুইট করে জানান, ‘রজিবির এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। মাঝরাতে এক গর্ভবতী মহিলাকে অটো চালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তিনি মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ঈশ্বর তাঁর মঙ্গল করুন’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর