বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের তারকা অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানিয়েছেন যে তিনি ২০১৮ সালে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। তিনি খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তখন তিনি কাউকে পাশে পাননি। অশ্বিন সেই সময় পরপর ছটি বল করার পরেই ক্লান্ত বোধ করতেন এবং মনে করেছিলেন যে আর নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না। তবে সেই সমস্ত খারাপ দিন কাটিয়ে অশ্বিন একটি দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন। খানিকটা আশ্চর্যজনক ভাবেই তিনি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পান এবং আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজেও ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন তিনি।
টেস্টে ভারতীয় দলে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তারকা অশ্বিন। ভারতের প্রধান স্পিনার ছাড়াও, অশ্বিন দীর্ঘতম ফরম্যাটে ব্যাট হাতে অনেকবার বিস্ময়কর ইনিংস খেলে দেশকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। কিন্তু ২০১৮ থেকে ২০২০ অবধি অশ্বিন নিজে জানিয়েছেন যে তিনি ভুগছিলেন নানান মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় এই সমস্ত সময় তিনি ক্রমাগত নিজেকে ঠিক পথে চালনা করার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি তার পক্ষে কঠিন হয়ে উঠছিল। ছয়টি বল করার পরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হত, সারা শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
অশ্বিনকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউই। অশ্বিন আরও বলেছিলেন যে কেউই তার চোট সম্পর্কে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারের প্রতি খারাপ সময়ে আস্থা প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু অশ্বিনের সাথে তা হয়নি। তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড়কে খারাপ সময়ে তাদের ওপর বিশ্বাস রাখা হয়। তাহলে আমার ওপর কেন নয়। আমি দলের হয়ে কম কিছু করিনি। অনেক ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছি, কিন্তু আমাকে বিশ্বাস করা হয়নি।”
অশ্বিন বলেছিলেন যে ২০১৮ সালে যখন তিনি চোট পান, তখন তিনি বেশ কয়েকবার অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি শুধু স্ত্রীর সাথে কথা বলতেন। কিন্তু তার বাবা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে একদিন তার ছেলেও ওডিআই এবং টি টোয়েন্টি দলে ফিরবেন এবং মৃত্যুর আগে তিনি তা দেখতে পাবেন। নিজের বাবার স্বপ্ন-কে সত্যি করে দেখিয়েছেন অশ্বিন। সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকায় সীমিত ওভারের সিরিজেও সুযোগ পেতে চলেছেন তিনি।