বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি দেশজোড়া বিতর্কের শীর্ষে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম আশ্চর্য তাজমহল। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি একটি হিন্দু মন্দিরের উপরে ওই সৌধ তৈরি করেছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। এই দাবিকে ঘিরেই তোলপাড় দেশ। তাজমহলের নীচের ২২টি তালাবদ্ধ ঘর খুলে দেওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থও হন হিন্দুত্ববাদীরা। এবার সেই ‘গোপন’ ঘরগুলির ছবি প্রকাশ্যে আনল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা ASI।
সোমবার এই কুঠুরি গুলির ছবি ট্যুইটারে প্রকাশ করেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা৷ তাঁদের তরফে দাবি করা হয় যে, ‘কুঠুরি গুলিতে কোনওই গোপনীয়তা নেই। এগুলি মূল কাঠামোটির অংশ মাত্র। শুধু তাজমহল নয়, অনেক যুগের অনেক স্থাপত্যেই রয়েছে এই ধরণের কাঠামো।’ এই প্রসঙ্গে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কথাও উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের পুরাতত্ত্ব বিষয়ক এই সংস্থার কর্তারা।
উল্লেখ্য, তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হাতেই। এএসআইএর আগ্রা সেল জানিয়েছে, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি যমুনা নদীর খাত লাগোয়া ওই ভূগর্ভস্থ ঘর গুলিতে সংরক্ষণ এবং ররক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। সেই সময়েই তোলা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ছবিগুলি। ওই ঘর গুলিতে গোপন কোনও কিছুই নেই।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, তাজমহলের নীচে তেজো মহালয়া নামের একটি হিন্দু মন্দির রয়েছে। ফলে তাজমহলের আসল ইতিহাস খুঁজতে কিছুদিন আগেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপির অযোধ্যা জেলার মিডিয়া ইনচার্জ। একই সঙ্গে তালাবদ্ধ ওই ২২টি ঘর খুলে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর এএসআই এর প্রকাশ করা এই ছবিকে ঘিরে জল পড়ল বিতর্কের আগুনে তা বলাই বাহুল্য।