বাংলা হান্ট ডেস্ক: বরাবরই নিজের উত্তপ্ত বাক্যবানের জন্য শিরোনামে থাকেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর মুখে ইতিপূর্বে বহুবার উঠে এসেছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মূলক কথা। শনিবারও বিহারের এক সভা থেকেও তাঁর মুখে শোনা গেল সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক মন্তব্য (Communal Inflammatory Comments)।
এদিন বেশ ঝাঁঝালো সুরে বিশ্বশর্মা হুংকার দিয়ে বলে ওঠেন, ‘যদি এনডিএ ৪০০ আসন নিয়ে এবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হবে। ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তখন ব্যবসার নামে চার বিয়ে আর মাদ্রাসার মতো মোল্লা তৈরীর কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে’।
এদিনের সভা থেকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ নিয়ে হেমন্ত বিশ্বশর্মা মনে করিয়ে দেন ইতিপূর্বে ঠিক যেভাবে ৩০০ ধারা রদ করা হয়েছিল এবার ঠিক সেই ভাবেই তুলে দেওয়া হবে চার বিয়ে। তাঁর কথায় এখন দেশ বদলে গিয়েছে। এরপরেই তিন বছর আগের এক ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
সেই প্রসঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মা এদিন বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম তখন এক অফিসার এসেছিলেন ফাইল সই করাতে। সেই ফাইল ছিল মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম মাদ্রাসা আসলে কী? আমরা কি টাকা দেবে যেখানে মোল্লা তৈরি হয়? আমি কেন টাকা দেব? আজই ওইসব দেকান বন্ধ করে দাও। বর্তমানে আমার অসমে ৭০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছি। কেউ টুঁ শব্দটুকু করতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রবীণ প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন না অভিষেক? মুখ খুললেন কল্যাণ, ভোটের মাঝেই শোরগোল!
‘তিন বছর আগে আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম তখন এক অফিসার এসেছিলেন ফাইল সই করাতে। সেই ফাইল ছিল মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম মাদ্রাসা আসলে কী? আমরা কি টাকা দেবে যেখানে মোল্লা তৈরি হয়? আমি কেন টাকা দেব? আজই ওইসব দেকান বন্ধ করে দাও। বর্তমানে আমার অসমে ৭০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছি। কেউ টুঁ শব্দটুকু করতে পারেনি।’
এখানেই শেষ নয়, এরপরেই মোদী বন্দনা করে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘এটা নতুন ভারত। এটা লালু প্রসাদের ভারত নয়। এটা মোদীর ভারত। এটা হিন্দু ভারত। যে এই নতুন ভারতের সঙ্গে লড়াই করতে যাবে সে যমরাজের বাড়ি পৌঁছে যাবে। মোল্লারা যেসব দোকান চালায় তা আর চলতে দেব না। আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করব। মোদীজির ৪০০ সিট চাই। আমাদের অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে হবে, আমাদের কৃষ্ণ জন্মভূমি চাই। মুসলিমদের সংরক্ষণ খতম করতে হবে। জ্ঞানব্যাপী মসজিদ আমাদের চাই।’