বাংলা হান্ট ডেস্ক : মাদ্রাসা (Madrasa) নিয়ে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন অসমের (Assam)মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। তিনি জানান, মাদ্রাসায় যে সমস্ত বাইরে থেকে শিক্ষকরা এসে পড়াচ্ছেন, তাঁদের সময়ে সময়ে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দিতে যেতে হতে পারে। এনসিপিসিআর-এর প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানান, দেশ জুড়ে বেসরকারি মাদ্রাসায় মোট ১ কোটি ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী পড়াশুনো করে। এই মাদ্রাসাগুলোতে পড়ানো হয় সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে।
মাদ্রাসাগুলি থেকে দেশ বিরোধী কাজ ও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার একের পর এক অভিযোগ সামনে আসে। আর এই কারণেই মাদ্রাসাগুলির উপর বাড়ছে সরকারি নজরদারি। সম্প্রতি আসামে জঙ্গি সংগঠন আন্সারুল বাংলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে পুলিস। মৌলভি সেজে বসে থাকা ৫১ বাংলাদেশের অধিবাসীকে ধরা হয় যারা এই সংগঠনের সদস্য। আর এই কারণেই আসামের বাইরে থেকে আসা মৌলবিদের থানায় হাজিরা দেওয়া নির্দেশ জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘মাদ্রাসাগুলির জন্য আলাদা চেক লিস্ট তৈরি হবে। খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ শুরু হতে চলেছে। পুলিশ খুব দ্রুত পদক্ষেপ করছে।’ মাদ্রাসার সিলেবাসে বিজ্ঞান ও গণিতকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কাজের জন্য আসামে যে সমস্ত বাঙালি মুসলিম রয়েছে তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে অসম সরকার
এনসিপিসিআর-র প্রধান প্রিয়াংক কানুনগো মাদ্রাসাতে আধুনিক শিক্ষার উপর আরও জোর দিতে বলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন বেসরকারি মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশুনার মান খুব খারাপ। সারা দেশে ১ কোটিরও বেশি শিশু বেসরকারি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তাদের শেখানো হয় সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। এই মাদ্রাসাগুলি সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। কানুনগো জানান তিনি সরকার এই মাদ্রাসাগুলির ব্যাপারে জানিয়েছেন। সরকারি ভাবে ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠাবার ব্যবস্থা করা হবে।