বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য এদিন একটি বড় ঘোষণা করল অসম সরকার। সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে অসমের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘সংখ্যালঘু সার্টিফিকেট’ দিতে চলেছে তারা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেন, “রাজ্যে বসবাস কারী সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে এবার থেকে সংখ্যালঘু প্রমাণপত্র দিতে চলেছে আমাদের সরকার।” উল্লেখ্য, সরকারের দ্বারা প্রদান করা সার্টিফিকেট বর্তমানে পেতে চলেছেন মোট ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তারা হল মুসলিম, শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং জৈন সম্প্রদায়।
এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, “আজ আমাদের ক্যাবিনেট বৈঠকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ দ্বারা মোট ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রমাণপত্র দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব পেশ করা হয়। ফলে পরবর্তীকালে এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া তারাই পরিচালনা করবে।”
সংখ্যালঘু সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্বন্ধে অবশ্য এদিন কিছুই বলেননি কেশব মহন্ত। এর প্রক্রিয়া কিংবা সময়কাল সম্পর্কেও কোনো রকম সুস্পষ্ট ধারণা মেলেনি। তবে অসম সরকারের এই সিদ্ধান্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেশ প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক কালে, সিএএ এবং এনসিআর নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে অসম সরকার। এর মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ‘মাদ্রাসা’ সম্পর্কিত মন্তব্য সেই পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করে তোলে। ফলে গোটা রাজ্যে যখন এই নিয়ে বিতর্ক চলছে, সেই মুহূর্তে সরকারের এই পদক্ষেপ নতুন কি মোড় নিয়ে আসে, সেটাই দেখার। অন্যদিকে, ওয়াকিবহাল মহলের মতে সংখ্যালঘু সংজ্ঞা বদলাতে চাইছে অসম সরকার। আর এই কারণেই তাঁরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে রাজ্যে কত মুসলমান রয়েছে তা সঠিক তথ্য হাসিল করা দরকার। অসম সরকার সংখ্যালঘুর সংজ্ঞা জেলা অনুযায়ী পরিবর্তন করার পক্ষে। তবে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে এবং আমরা আদেশের জন্য অপেক্ষা করব বলে তিনি জানান। সম্প্রতি, কেন্দ্র সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করে বলেছে যে, রাজ্য ধর্মীয় বা ভাষাগত ভিত্তিতে যেকোনো সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু মর্যাদা দিতে পারে। অর্থাৎ কোনো রাজ্যে যদি হিন্দুদের জনসংখ্যা একটি সীমার কম হয়, তাহলে সে রাজ্যে তাদের সংখ্যালঘু মর্যাদাও দেওয়া যেতে পারে।