বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও (Kashmir Attack), সব হামলাই নাকি সরকারের চক্রান্ত, সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছেন অসমের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। কাশ্মীর হামলার জেরে যখন গোটা দেশ বিক্ষুব্ধ, প্রতিবাদে একসুর শোনা যাচ্ছে সমগ্র দেশবাসীর কণ্ঠে, তখনই বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে (Kashmir Attack) জড়ালেন অল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বিধায়ক। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে অসম পুলিশের তরফে।
কাশ্মীর হামলায় (Kashmir Attack) বিতর্কিত মন্তব্য করে গ্রেফতার অসম বিধায়ক
পহেলগাঁও হামলায় (Kashmir Attack) যখন গোটা দেশ ক্ষোভে ফুঁসছে, তখনই বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন অসম বিধায়ক। কাশ্মীরে হামলাকে সরকারের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে কটাক্ষ করে বিপাকে পড়লেন আমিনুল ইসলাম। তাঁর মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই পদক্ষেপ নেয় বিজেপি সরকার তথা অসম পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় অন্তত ৬ টি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর।
দল থাকল না পাশে: তবে নিজের দলের বিধায়কের পাশে দাঁড়াননি বদরুদ্দিন আজমল। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এসব বক্তব্য তাঁদের দল সমর্থন করে না। ধর্ম নির্বিশেষে সন্ত্রাসবাদের (Kashmir Attack) বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করা দরকার বলেই মনে করেন তিনি। ইসলামের নামে বদনাম করা হচ্ছে। তাই বিধায়কের মন্তব্য দল সমর্থন করে না।
আরো পড়ুন : কাশ্মীরে রক্তপাতের পালটা ‘দাওয়াই’, ভারতে মুক্তি পাবে না ফাওয়াদ খানের ছবি-সূত্র
কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই বিষয়ে। তিনি স্পষ্ট বলেন, প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে যারা পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে (Kashmir Attack) সমর্থন করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ওই বিধায়ক পাকিস্তানকে সমর্থন করেছেন, যা বিপজ্জনক। তাই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : বারুইপুর পুলিশের ‘শীতঘুম’ কবে কাটবে? দুই ‘কাশ্মীরি’ যুবককে ক্লিনচিট দিতেই প্রশ্নবাণ শুভেন্দুর
মঙ্গলবার পহেলগাঁও এর বৈশরণ ভ্যালিতে জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয় ২৬ জন। আহত হন আরো ২০ জন। পহেলগাঁও হামলার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি বড় প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। বন্ধ করা হয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে যে পাকিস্তানিরা ভারতে রয়েছেন তাদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান এবং ভারত দুই দেশের হাই কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সামরিক পরামর্শদাতাদের। পাশাপাশি এতদিনের সিন্ধু জলচুক্তিও বাতিল করা হয়েছে।