মানব সভ্যতার আয়ু আর মাত্র কয়েক বছর, ভয়ংকর তথ্য নাসার গবেষণায়

২০০৪ সালে সুবারু টেলিস্কোপে ডেভিড জে টলেন ও তার সঙ্গীরা গ্রহাণু (asteroid)  অ্যাপোফিজ ৯৯৯৪২ এর আবিস্কার করেন তখনই ভবিষ্যৎ বানী করা হয় ২০২৯ সালেই পৃথিবীর সাথে ধাক্কা লাগবে এই গ্রহানুর। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে ২০২৯ সালে পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেলেও ২০৬৮ সালে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে এই গ্রহানু। আর সেই সংঘর্ষ হলে, ধ্বংস হয়ে যেতে পারে গোটা পৃথিবীর সভ্যতা।

asteroid 1 1

অ্যাপোফিজ নামটি এসেছে প্রাচীন মিশরীয় উপকথা থেকে। উপকথা অনুসারে মিশরের এই দেবতাই মহাজাগতিক বিশৃঙ্খলার জন্ম দিয়েছিলেন। মিশরের অন্য আরেক দেবতা রা ( সূর্যের দেবতা) এর ভাই তিনি। আকারে যেমন বিশাল তেমনই ভয়ংকর নাগের মত তার গঠনও।

জানা যাচ্ছে সূর্যের আলোর দ্বারা আকর্ষিত হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সে । জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ইয়ারকোভস্কি অ্যাক্লেরেশন। পৃথিবীর যত কাছে আসবে ততই গতি বাড়তে শুরু করবে তার। এবং যদি ২০৬৮ সালে ধাক্কা লাগে তাহলে মানব সভ্যতার নিশ্চিত ধ্বংসের কারন হবে সে।

নাসার হিসাবে এই গ্রহানু নিয়ার আর্থ অবজেক্ট হলেও এখনো পৃথিবীর থেকে অনেকটাই। তবে নাসা এক প্রকার নিশ্চিতই যে ২০২৯ সালে পৃথিবীর সাথে এর ধাক্কা লাগবে না। পাশাপাশি, ২০৬৮ সালে সংঘর্ষ ও পৃথিবীর ধ্বংসের কথাও বেশ জোর দিয়ে বলছে নাসা। যদিও নাসার এই অঙ্ক কতখানি সঠিক তা এখন জানা সম্ভব নয় বলবে সময়ই।

 


সম্পর্কিত খবর