বাংলাহান্ট ডেস্ক : করোনা (COVID 19) মহামারীতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক এই মহামারী রোগের প্রাদুর্ভাব এতটাই ছিল যে বদলে গিয়েছিল আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এই রোগের উৎস সম্পর্কে জানতে এখনো বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ইতিমধ্যেই এই রোগের টিকা আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।
প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) টিকার নিয়ে গবেষণা চলছিল। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Astrazeneca) ছিল অন্যতম। প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই করোনা মহামারীর টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে সম্প্রতি করোনা মহামারির এই টিকা থেকে যে সাইড এফেক্ট হচ্ছে তা আদালতে স্বীকার করে নিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
আরোও পড়ুন : এখন খুব সহজেই পেয়ে যাবেন লোন! তবে বড়সড় লসের হাত থেকে বাঁচতে এই কথাগুলো জেনে রাখুন
অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে স্বীকার করেছে তাদের করোনা ভ্যাকসিন মানুষের শরীরের মধ্যে TTS-এর মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিন্ড্রোম (TTS) সহ থ্রম্বোসিস নামক একটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে এই টিকা থেকে। জানিয়ে রাখা ভালো, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোমের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে যা স্ট্রোক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো ঘটনাও ঘটাতে পারে।
আরোও পড়ুন : আপনার মুখের আদলই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ! দেখুন, কোন ব্যক্তিকে চেনার সহজ উপায়
জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তির 2021 সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তপাত শুরু হয়। এরপর তিনি সেই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেন। করোনার Covishield ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহায়তা করেছিল AstraZeneca।
এই কোম্পানির বিরুদ্ধে এখন মামলা চলছে এই অভিযোগে যে যারা তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিল তারা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে AstraZeneca বলেছে, ভ্যাকসিনটি খুব বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস ঘটাতে পারে। যদিও এর পিছনে কী কারণ রয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।