বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca)। সৌজন্যে, করোনা ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ (Covishield)। এই ভ্যাকশিনের ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর থেকেই চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। আর এবার খবর, বাজার থেকে নিজেদের তৈরি সমস্ত কোভিড টিকা তুলে নিচ্ছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি খবর মিলেছে, সংস্থাটির তৈরি ‘ভ্যাক্সজেভরিয়া’ থেকে শুরু করে ‘কোভিশিল্ড’ এবং অন্যান্য যাবতীয় টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যদিও সংস্থাটি জানাচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে নয়, বাজার থেকে টিকা তুলে নেওয়ার পেছনে রয়েছে অন্য একটি কারণ। মূলত বাণিজ্যিক কারণকেই মূখ্য বলে তুলে ধরেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অ্যাস্ট্রোজেনেকার দাবি, আজকের দিনে এই ধরণের টিকার চাহিদা ব্যাপক কমে যাওয়ার কারণেই নাকি সিদ্ধান্ত। কোম্পানির এই সিদ্ধান্তের পেছনে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্পর্কই নাকি নেই। মূলত বাণিজ্যিক কারণকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে কোম্পানি। যদিও সংস্থার এই বয়ানে ক্ষান্ত হচ্ছেন না আম জনতা। সাধারণ মানুষ বলছে, আম জনতার যাবতীয় ক্ষতি করে দেওয়ার পর এবার নাকি ভয়ে পাততাড়ি গোটাচ্ছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা।
আরও পড়ুন:দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় আজও ঝড়বৃষ্টি! আগামী ৭২ ঘণ্টা কেমন থাকবে আবহাওয়া? IMD-র রিপোর্ট
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাজার থেকে টিকা তুলে নেওয়ার কথা দিনকয়েক আগেই জানিয়েছিল সংস্থাটি। গত ৫ তারিখ এই ঘোষণার পর টিকা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়ে যায় গত ৭ মে। সেই সাথে জানা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবার নাকি ইউরোপে কোভিড টিকার বাজার অনুমোদনও প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, গত কয়েকদিন আগেই কোভিশিল্ড সংক্রান্ত একটি ভয়াবহ কথা তুলে ধরেছিল ব্রিটেনের একটি সংস্থা। সেই সংস্থার দাবী ছিল, এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। যারা এই টিকা নিয়েছেন তাদের শরীরে দেখা যেতে পারে টিটিএস-এর মতো বিরল রোগ হতে পারে। বেশ কিছু আক্রান্তের খবরও সামনে এসেছিল। পরে ব্রিটেন আদালতে এই কথা স্বীকার করে নেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
আরও পড়ুন:অবিশ্বাস্য! উঁচু থেকে পড়তেই ৩ ফুটের রড ঢুকে গেল এই ব্যক্তির শরীরে, তারপর যা হল….
যদিও সংস্থাটি জানায়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও তার প্রভাব ভীষণ কম। সার্বিকভাবে এই টীকা কার্যকরী এবং উপকারী। তাছাড়া এই টিকা নিলেই যে মানুষ টিটিএস-র মত বিরল রোগে আক্রান্ত হবে তার কোনও মানে নেই। এই টিকা ছাড়াও থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঘটনা ঘটতে পারে। এখন জেনে রাখা ভালো, কী এই টিটিএস? এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের নানা জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। শুরু হয় মাথা ব্যাথা, পেটে যন্ত্রণা, পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ফিট হওয়া বা জ্ঞান হারানোর মত সমস্যা। এমনকি প্লেটলেট মাত্রাতিরিক্ত কমে গেলে মানুষের মৃত্যুরও কারণ হয়ে উঠতে পারে এই টিটিএস।