বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের(Chief Minister) সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না বৈঠকে। তবে ছিলেন মুখ্যসচিব। জরুরি পথ্য ও মেডিক্যাল সরঞ্জামের যেন কোনও অভাব না হয়, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের নজর রাখার আর্জি জানান মোদী। করোনা মোকাবিলার জন্য পৃথক হাসপাতালের কথাও মুখ্যমন্ত্রীদের বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,”কোনওভাবেই যেন পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব না হয়। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি অনলাইন প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করা হবে।”
লকডাউন (lockdown) কি ২১ দিন পর উঠে যাবে? বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কী আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী? বৈঠক থেকে যা উঠে এল, লকডাউনের পরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীদের নরেন্দ্র মোদীর বার্তা, লকডাউনে ঢিলে দেওয়া চলবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও নমুনা পরীক্ষা, আক্রান্তের খোঁজ, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের উপরে জোর দিতে হবে।
#WATCH Prime Minister Narendra Modi's message at video conference with Chief Ministers on #COVID19 situation in the country. (Source: PMO) pic.twitter.com/H7ZU80tM1w
— ANI (@ANI) April 2, 2020
লকডাউনে সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজরে রাখতে বলেন মোদী।তিনি জানান, কৃষিকাজে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে ঠিকই।কিন্তু সেক্ষেত্রেও যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে, সেই আর্জি করেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কী? আগামী দিনের কথা মাথায় রেখে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? আজকের বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল এগুলিই। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। করোনাভাইরাসের মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রের সমন্বয়ের প্রয়োজনের কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন মোদী। জানান, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে লড়াই করতে হবে। তাঁর সাবধানবাণী, দীর্ঘ লড়াই অপেক্ষা করছে সবার সামনে। লকডাউনের(lockdown) সিদ্ধান্তকে সমর্থন ও কার্যকর করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের ধন্যবাদ জানান নমো।একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর পরিসংখ্যান এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। নতুন করে থাবা বসাচ্ছে কোভিড-১৯। এই সময়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন ও পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। জেলা স্তরে দুর্যোগ মোকাবিলার বিশেষ দল গঠন এবং জেলা পরিদর্শক নিয়োগের কথাও বলেন।
ইতিমধ্যেই দেশে ৪টি করোনাভাইরাস(corona virus) সংক্রমণের হটস্পট নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেই অংশগুলিতে যাতে কোনওভাবেই ঢিলে না দেওয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আর্জি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, কিছু কিছু রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন এখনও বেশ শিথিল। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে জেলাস্তরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।