বাংলাহান্ট ডেস্ক : কবি নজরুল বলেছিলেন, “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান।” আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে সবার কাছে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সর্বধর্ম সমন্বয় আমাদের দেশকে এক আলাদা পরিচিতি দিয়েছে বিশ্বের দরবারে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের আলীগড় মন্দির সাক্ষী থাকলো এমনই একটি ঘটনার। এই মন্দিরের এক হিন্দু যুবক হনুমান চালিশা পড়ে শোনাচ্ছেন কিছু মুসলিম যুবককে। সেই মুসলিম যুবকরা মন দিয়ে শুনছেন হনুমান চালিশা পাঠ। এই ছবিটিই এখন মন কেড়ে নিয়েছে সকল দেশবাসীর।
জানা গেছে, হনুমান চালিশা পাঠরত হিন্দু যুবকটি হলেন শচীন ভর্মা। তিনি অখিল ভারতীয় হিন্দু সেনার জেলা সভাপতি। সংবাদমাধ্যমকে শচীন জানিয়েছেন, “অখিল ভারতীয় হিন্দু সেনার জেলা সভাপতির দায়িত্বে আছি আমি। আমি সবাইকে অনুরোধ করেছিলাম হনুমান চালিশা শোনার জন্য। সনাতন ধর্মকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ। এতে কারুর ওপর বল প্রয়োগ করা হয়নি। যে যারা নিজের ইচ্ছাতেই মন্দিরে এসে হনুমান চালিশা শুনেছেন।”
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্নি থিওলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান মুফতি জাহিদ আলি খান এই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, “কেউ ইচ্ছা করলে হনুমান চালিশা পাঠ করতে বা শুনতেই পারেন। জাতিগত কোনো বাধা সেখানে নেই। তবে কাউকে যদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে এই কাজ করানো হয় তা অবশ্যই সংবিধান বিরোধী।”
https://twitter.com/igauravpandit/status/1581508995843784705?s=20&t=8kLG247zqBsbB2nMgWJ5TA
শচীন ভর্মা বলেছেন,” আলিগড়ের মুসলিমরা হনুমান চালিশা শোনার পাশাপাশি ‘বন্দেমাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও দেন। এর জন্য তাদের উপর কোনরকম জোর জবরদস্তিও করা হয় না।” উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মন্দিরের এই সম্প্রীতির ছবি এখন মন কেড়ে নিয়েছে নেট দুনিয়ার।