বাংলাহান্ট ডেস্ক : DRDO পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট উপকূলে মিসাইল পরীক্ষার লঞ্চ প্যাড তৈরি করতে চায়। এর ফলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশান (ডিআরডিও) আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকায় মিসাইল টেস্ট করতে চায়।
পরীক্ষামূলকভাবে মিসাইল উৎক্ষেপণ হবে কাঁথির জুনপুট উপকূল থেকে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এই কাজের মহড়া চলছিল গত রবিবার। সেই সময় শুরু হয় তীব্র শব্দ। এই শব্দের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ কিছু শিশু এই শব্দের ফলে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলে।
আরোও পড়ুন : বাবা রাজমিস্ত্রি, মা বাঁধেন বিড়ি! DRDO-তে সুযোগ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল বাংলার দীন দরিদ্র সুদীপ
তারপর ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এলাকাবাসী, মৎস্যজীবী সংগঠন, বিজ্ঞান সংগঠনের সদস্যরা। শুরু হয় বিক্ষোভ।ডিআরডিও-র যে পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ইট, পাথর ছোড়েন। দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটে এই তীব্র শব্দের ঘটনা। তারপর দুপুর আড়াইটা থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বহু মানুষ।
আরোও পড়ুন : ফের বড়সড় ধাক্কা খেল I.N.D.I.A! জোট ছেড়ে বিজেপিতে তিন দাপুটে নেতা, ঘুরে গেল খেলা
এরপর বিকেল পাঁচটা নাগাদ পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়। এলাকাবাসীরা দাবি করেছেন, রকেট উৎক্ষেপণ করতে দেওয়া যাবে না জুনপুটে। গ্রামবাসীরা বলছেন তারা প্রয়োজনে প্রাণ দেবেন কিন্তু জমি বা জীবন-জীবিকা ছাড়বেন না। এমনকি তাদের দাবি না মানলে ভবিষ্যতে আরও বড় প্রতিবাদে সামিল হওয়ার কথা বলেছেন গ্রামবাসীরা।
জেলাশাসক তানবীর আফজল বলেন, জুনপুটে মিসাইলের লঞ্চিং প্যাড নির্মাণ করার জন্য রাজ্য সরকার জমি দিয়েছে ডিআরডিওকে। ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে এখান থেকে মিসাইল লঞ্চ টেস্ট করবে তারা। অপরদিকে, মিসাইল ছোঁড়া হবে বালেশ্বর থেকে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের মিসাইল টেস্ট এই প্রথম হতে চলেছে রাজ্যের উপকূল এলাকা থেকে।