বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ক্রমশ্য জলঘোলা হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে! বিগত কয়েক মাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি ( Recruitment Scam) ইস্যুতে উত্তাল বাংলার মাটি। আদালতে চলছে একের পর এক মামলা, বাড়ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অস্বস্তি। পাশাপাশি প্রকাশ্যে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এরই মধ্যে সামনে এলো আরেক কাহিনী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ( Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ মতো প্রথম ১৮৩ জন শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। তবে এতেও নাকি গড়মেল! জানা গিয়েছে সেই ১৮৩ জনের সেই তালিকার মধ্যে ১০২ জন নাকি চাকরিতে যোগই দেননি। ‘চাকরিই করি না, ভুয়ো-তালিকায় নাম কেন?’ এই দাবিতেই এসএসসি-র কাছে এল অন্তত ৩০ জন চাকরি প্রার্থীর চিঠি।
কি অভিযোগ করছেন সেসকল প্রার্থী? তাদের দাবি তারা নাকি চাকরিই পাননি, অথচ ভুয়ো সুপারিশের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাদের নাম। কি করে তাদের নাম ওই তালিকায় এল? এই নিয়ে তারা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে এসএসসি কে। অন্তত ৩০ জন এসএসসি-র শরণাপন্ন হয়েছে এই বিষয়ে। পাঠানো হয়েছে চিঠিও। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা এই নিয়ে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ‘নাম যে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেটা তো নিজেই জানিয়েছে এসএসসি। যার নামে সুপারিশ তিনি না পেয়ে কি তবে চাকরি পেয়েছেন অন্য কেউ? এই নিয়ে তো আরও গভীরে তদন্ত হওয়া উচিত।’
সূত্রের খবর, প্রথমে ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। কিন্তু, সেই তালিকার মধ্যে ১০২ জন চাকরিতে যোগ দেননি। পরে ফের এসএসসি আরও ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে। পাশাপাশি প্রকাশ করা হয় ওএমআর শিটও। সেখানেই দেখা যায় বেশির ভাগ উত্তরপত্রেই ,নাম ও রোল নম্বর ছাড়া আর বাকি কাগজ প্রায় ফাঁকা। এর পরেই পরে যায় শোরগোল। দিন দিন আদালতে আরও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরবর্তী সময় এই দুর্নীতির জল আর কতদূর গোড়ায় সেটাই এবার দেখার বিষয়।